চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বিদেশ যাওয়ার আগে প্রত্যেক নারী কর্মী পাবেন স্মার্টফোন

অনলাইন ডেস্ক

১২ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ১:০৬ অপরাহ্ণ

বিদেশ যাওয়ার আগে প্রত্যেক নারী কর্মীকে একটি করে স্মার্টফোন দেয়া হবে। নারী কর্মীদের সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট এই স্মার্টফোন দেবে রিক্রুটিং এজেন্সি। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নারী কর্মীদের সুরক্ষায় মঙ্গলবার বিকেলে জারি করা পরিপত্রে নারী সুরক্ষায় এমন ১২টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

গত তিন বছরে প্রায় তিন লাখ নারী কর্মী সৌদি আরবে গেছেন। তাদের মধ্যে চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই দেশে ফিরে এসেছেন সাড়ে ৮ হাজার নারী। ফেরত আসা এসব নারীদের বড় একটি অংশই সেখানে যৌন নির্যাতনসহ নানা নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় সংসদেও বিদেশে নারী কর্মী না পাঠানোর দাবি তোলা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নারী কর্মীদের সুরক্ষায় একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একটি স্মার্টফোন নারী কর্মীদের সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। সম্প্রতি ফোন ব্যবহারের সুযোগে বেশ কয়েকজন নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

ব্র্যাক অভিবাসন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান জানান; আমরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছি, গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতে যাওয়া নারী কর্মীদের হাতে একটি মোবাইল ফোন থাকা বাধ্যতামূলক করা উচিত। এই একটি ফোন তাদের সুরক্ষা কবচ হয়ে উঠতে পারে। তিনি আরো জানান, একজন কর্মী কোনো ধরনের সমস্যায় পড়লে ফোনে দূতাবাসে কিংবা রিক্রুটিং এজেন্সির কাছে অভিযোগ করতে পারবেন। স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ফোন করেও সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। সেটি না করতে পারলেও অন্তত পরিবারের কাছেও বলতে পারবেন। এর মাধ্যমে তাকে দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব হবে। পরিপত্রে বলা হয়, কর্মীর চুক্তিপত্র বাংলায় অনুবাদ করে সেখানে উল্লেখ করা বিষয় নারী কর্মীদের বাধ্যতামূলকভাবে জানাবে সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সি। কোনো কর্মী বিদেশ গেলে তার ফ্লাইট নম্বর, সৌদি আরবে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির তথ্য রিক্রুটিং এজেন্সি, বিএমইটির নারী কর্মী সুরক্ষা সেল, বিমানবন্দরে কল্যাণ ডেস্ক ও বাংলাদেশ দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট শ্রমকল্যাণ উইংয়ে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠাবে।

নির্দেশনায় বলা হয়, বিমানবন্দরের কল্যাণ ডেস্ক বিদেশগামী নারী কর্মীর সব তথ্য যাচাই করে অসঙ্গতি পেলে অথবা কর্মীর বয়স কম-বেশি অথবা অসুস্থতা পেলে অফলোড (স্থগিত) করতে পারবে। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট দেশে পৌঁছানোর পর নির্দিষ্ট এজেন্সি নারী কর্মীকে রিসিভ করে গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবে। বিদেশে অবস্থানের সময় নারী কর্মী কোনো সমস্যায় পড়ে দূতাবাসের সেফ হাউজে আশ্রয় নিলে শ্রমকল্যাণ উইং প্রত্যেকের জন্য একটি বিবরণী মন্ত্রণালয় ও বিএমইটির নারী কর্মী সুরক্ষা সেলে পাঠাবে। এছাড়া বিমানবন্দরের কাছে একটি রি-ইন্টিগ্রেশন সেল গঠন করার কথা জানিয়েছে দূতাবাস। বিদেশ থেকে ফিরে আসার পর নারী কর্মীরা ওই সেল থেকে প্রয়োজনীয় আইনি, আর্থিক ও অন্যান্য সহযোগিতা পাবেন। এছাড়া বিদেশে পাঠানো নারীদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রতি মাসে নারী কর্মী সুরক্ষা সেলে পাঠানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/এম

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট