চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের গ্রেড নিয়ে রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক হ ঢাকা অফিস

১০ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৪:৪১ পূর্বাহ্ণ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের (প্রশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত) পদমর্যাদায় তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করে ১১ ও ১২তম গ্রেড দিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭৭ জন প্রধান শিক্ষকের করা এক রিট আবদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপ্রতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ রুল জারি করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট শাম্মী আক্তার। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী মো. জে আর খান (রবিন)।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জনপ্রশাসন সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, অর্থ সচিব, পাবলিক সার্ভিস কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পরে জে আর খান রবিন জানান, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকের পদমর্যদা তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করে বেতন স্কেল যথাক্রমে ১১ নম্বর ও ১২ নম্বর গ্রেডে উন্নীত করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- সে মর্মে জনপ্রশাসন সচিবসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে কেন প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষদের দমম গ্রেডে উন্নীত করাসহ, দশম গ্রেড অনুয়ায়ী বেতন স্কেল নির্ধারণ করা হবে না- সে মর্মেও রুল জারি করেন।
ওই প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে টাঙ্গাইলের আতাবারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানারা খাতুনসহ ৭৭ জন এ রিট দায়ের করেন।

শাম্মী আক্তার বলেন, ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশ অনুয়ায়ী তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির গ্রেড (১১-২০ পর্যন্ত) পদে নিয়োগ/পদোন্নতি/টাইম স্কেল/সিলেকশান গ্রেড প্রদানের জন্য প্রতিনিধি মনোনয়ন করা হয়।
কিন্তু ২০১৪ সালের ৯ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করলেও তাদের গ্রেড দেওয়া হয়েছে ১১ ও ১২; যা অসাংবিধানিক।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট