চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

প্রবীণদের সুবিধার্থে হচ্ছে প্রবীণ কল্যাণ ফাউন্ডেশন

অনলাইন ডেস্ক

৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ১১:২৯ অপরাহ্ণ

সরকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করছে। তারই ধারাবহিকতায় সরকার প্রবীণদের জন্য পেনশন চালুর কথা ভাবছে। ৬০ বছর এবং ততোধিক বয়সী ব্যক্তিরা প্রবীণ হিসেবে স্বীকৃত হবেন।

জানা যায়, প্রবীণ কল্যাণ নামে একটি ফাউন্ডেশন গঠন করবে সরকার। এজন্য প্রবীণ কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইনের খসড়াও করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।

খসড়া আইন অনুযায়ী, ফাউন্ডেশন নিজ নিজ বাড়িতে প্রবীণদের রেখেই তাদের সেবা-যত্নের ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রবীণদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর জন্য কর্মক্ষম প্রবীণদের উপযুক্ত কর্মে নিয়োগ এবং তাদের জন্য সম্ভাব্য কর্মসৃজন ও প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রবীণদের জন্য ইউনিভার্সল সোশ্যাল পেনশন (ইউএসপি) চালুসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

ফাউন্ডেশনের কার্যাবলি সম্পর্কে খসড়ায় বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নিয়ে ফাউন্ডেশন প্রবীণদের  ঘোষিত সুবিধাদি নিশ্চিত করবে সরকার। কমিউনিটি এপ্রোচে প্রবীণদের নিজ নিজ বাড়িতে রেখেই তাদের সেবা-যত্ন করার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রয়োজনে দেশের প্রতিটি জেলায় এক বা একাধিক প্রবীণ নিবাস বা আবাসন নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ বা এ কর্মকাণ্ডে সহায়তা দেবে। প্রবীণদের রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ের উদ্যোগ গ্রহণ এবং কম মূল্যে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করবে।

প্রবীণবান্ধব ব্যায়ামাগার, নার্সিং ও থেরাপি সেবাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা এবং প্রবীণদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা দেয়া। শিক্ষা পাঠ্যক্রমে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের পাঠ্যক্রম ও ব্যায়ামচর্চা প্রবর্তন। মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলোতে জেরিয়াট্রিক মেডিসিন (বার্ধক্যজনিত রোগ) বিভাগ, লংটার্ম কেয়ার, ইন্টিগ্রেটেড কেয়ার ও পেলিয়েটিভ কেয়ার ইউনিট খোলার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ফাউন্ডেশন।

প্রবীণদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর জন্য কর্মক্ষম প্রবীণদের উপযুক্ত কর্মে নিয়োগ এবং তাদের জন্য সম্ভাব্য কর্মসৃজন ও প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়োজিত করা; দুর্যোগের ঝুঁকিহ্রাস, সুরক্ষা ও পুনর্বাসনে প্রবীণদের সহায়তা দেবে ফাউন্ডেশন। পর্যায়ক্রমে প্রবীণদের জন্য ইউনিভার্সল সোশ্যাল পেনশন (ইউএসপি) চালু করা। আবাসন বিষয়ে যথাসম্ভব প্রবীণ উপযোগী এবং ভৌত কাঠামো প্রবীণবান্ধব করার উদ্যোগ গ্রহণ। প্রবীণকল্যাণ তহবিল সৃজন, প্রবীণ বিষয়ক গবেষণা ও প্রচারণা পরিচালনা।

ফাউন্ডেশনের কাজের মধ্যে আরও রয়েছে- প্রবীণদের জন্য তথ্যভাণ্ডার সৃষ্টি, সংরক্ষণ ও ব্যবহার। প্রবীণদের জন্য দিবা-যত্নকেন্দ্র নির্মাণ ও পরিচালনা করা। প্রবীণকল্যাণ সঞ্চয়পত্র প্রবর্তন করা। প্রবীণকল্যাণ নিশ্চিতে সরকার দ্রুত বা অন্য যেকোনো কার্যক্রম গ্রহণ। বেসরকারি সংস্থা বা সংগঠনকে প্রবীণকল্যাণ বিষয়ক কর্মসূচি গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা এবং প্রবীণকল্যাণে নিয়োজিত যেকোনো সংস্থা বা সংগঠনকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা এবং পরামর্শ দেয়া। এছাড়া প্রবীণদের জন্য সব পরিবহনে কম ভাড়ায় যাতায়াত বা চলাচল উপযোগী ব্যবস্থা নিশ্চিত করা; জাতিসংঘ ও এর অঙ্গ সংস্থার প্রবীণ অধিকার সুরক্ষা ও প্রবীণ উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তি, রেজুলেশন, ঘোষণাপত্র ইত্যাদি জাতীয় পর্যায়ে বাস্তবায়ন, অগ্রগতি, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন এবং এ বিষয়ে সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় সুপারিশ উপস্থাপন করবে ফাউন্ডেশন।

একই সঙ্গে প্রবীণদের আইনি সহায়তা দেয়া, প্রবীণদের চাহিদা অনুযায়ী তাদের কল্যাণে বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ সেবক-সেবিকা গড়ে তোলা, প্রবীণদের জন্য আলাদা জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার ব্যবস্থা করা, প্রবীণ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের উদ্দেশ্য ও কার্যাবলি বাস্তবায়নে যুগোপযোগী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কাজও ফাউন্ডেশন করবে।

রাজধানী ঢাকায় ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় থাকবে এবং ফাউন্ডেশন প্রয়োজনবোধে দেশের যেকোনো স্থানে এর শাখা কার্যালয় স্থাপন করতে পারবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই খসড়া আইনে।

পূর্বকোণ/রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট