ব্যাপক অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিবাহিতদের খুঁজতে একটি কমিটি করার কথা জানিয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। আজ মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেল ৩টার দিকে সরকার সমর্থক সংগঠনটির সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে যান।

এ সময় সাংবাদিকরা বিবাহিতদের স্থান পাওয়ার অভিযোগ নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে শুরুতে এই অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেও পরবর্তীতে অভিযোগগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নেয়ার কথা জানিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, যেহেতু বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে এসেছে, আমরা এই বিষয়ে ছাত্রলীগের যে সাবেক নেতৃবৃন্দ আছে তাদের দ্বারা সমন্বয় করে একটি কমিটি গঠন করে দেব। যদি সত্যি এগুলো প্রমাণিত হয়, তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
পদ না পেয়ে বিক্ষুব্ধদের আশ্বস্ত করে ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন বলেন, কিছুদিন পর এই কমিটি বর্ধিত করে যোগ্যদের নিয়ে আসা হবে।
সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করব ও সবার প্রতি আহ্বান জানাব। যাদের অভিযোগ আছে তারা তদন্ত কমিটির কাছে আপনাদের দালিলিক তথ্য উপস্থাপন করুন। আমরা তদন্ত প্রতিবেদন পাবলিকলি প্রকাশ করব।
নবগঠিত কমিটির সহ সভাপতি সোহানী হাসান তিথি, সাদিক খান, আবু সাঈদ, এস এম আতিক হাসান, ইশাত কাসফিয়া ইরা, উপ-পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক রুশি চৌধুরী, উপ-গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল হুদা সুমন, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক আফরিন লাবণী, সহ সম্পাদক সামিহা সরকার, আনজুম আরা অনু বিবাহিত বলে অভিযোগ উঠেছে।
উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ৫-এর গ ধারা অনুযায়ী বিবাহিত ব্যক্তি ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান পাবেন না।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের প্রায় এক বছর পর সোমবার (১৩ মে) ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর থেকে চলছে ক্ষোভ-বিক্ষোভ। এক পর্যায়ে তা মারামারিতেও গড়িয়েছে। এ ঘটনার পর পদবঞ্চিতরা অছাত্র, অযোগ্য, বিবাহিত, পেশাজীবী, মাদক ব্যবসায়ীদের বাদ দিয়ে কমিটি পুর্নগঠনের জন্য ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়।