চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

২৮ মে যুক্তরাজ্যে প্রবাসীদের এনআইডির সম্ভাব্যতা যাচাই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৪ মে, ২০১৯ | ৭:০২ অপরাহ্ণ

যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার করে নিয়ে সে দেশেই জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সরবরাহ করতে উচ্চ পর্যায়ের টিম সম্ভাবতা যাচাইয়ে পাঠাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সিঙ্গাপুরের পর এবার যুক্তরাজ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ওই টিম ২৮ জুলাই এ সংক্রান্ত বৈঠক করবে দেশটিতে।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, গত মার্চে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সিঙ্গাপুরে সম্ভাবতা যাচাই করে যে প্রস্তাবনা দিয়েছেন সে অনুযায়ী দেশটিতে কার্যক্রম হাতে নেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আর যুক্তরাজ্যে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যাচ্ছেন হেলালুদ্দীন আহমদ।

আগামী ২৪ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই তারা দেশটিতে অবস্থান করবেন। ২৮ জুলাই দেশটিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার, বাংলাদেশের কমিউনিটি ও যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সে বৈঠকের ফলাফল অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তবে এর আগে তারা ২৫ জুলাই ১৮তম ক্যামব্রিজ কনফারেন্স অন ইলেকশন ডেমোক্রেসিতে অংশ নেবেন।

এ বিষয়ে ইসি সচিব জানান, প্রবাসীদের সংশ্লিষ্ট দেশে এনআইডি সরবরাহের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাতে সিঙ্গাপুরকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রবাসী কম। তাই সেখানেই শিগগিরই পাইলটিং করা হবে। এরপর আমরা যুক্তরাজ্যে যাচ্ছি সম্ভাবতা যাচাইয়ে। সেখানে বাংলাদেশের হাইকমিশন, কমিউনিটি ও পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করবো। সেখান থেকেই হয়তো করণীয় উঠে আসবে।

এ বিষয়ে ইসির এনআইডি শাখার মহাপরিচালক সাংবাদিকদের জানান, পুরো কর্মপন্থাটি বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধনের একটি করে লোকাল সার্ভার স্থাপন করা হবে। সেই সার্ভারের অধীনে কয়েকটি টেম্পোরারি সার্ভার স্থাপন করা হবে। লোকাল সার্ভারের সঙ্গে টেম্পোরারি সার্ভারের সংযোগ থাকবে। আর টেম্পোরারি সার্ভারের মাধ্যমেই নাগরিকদের তথ্য ইনপুট দেওয়া হবে।

বিদেশ থেকে সেই তথ্য দেশে এনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপজেলায় পাঠানো হবে। সেই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তদন্ত শেষে প্রতিবেদন পাঠাবেন। প্রতিবেদনে সত্যতা মিললেই কেবল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হবেন। এরপর সংশ্লিষ্ট দেশেই দূতাবাসের মাধ্যমে এনআইডি সরবরাহ করা হবে।

প্রসঙ্গতঃ প্রবাসী বাংলাদেশিদের দীর্ঘদিনের দাবি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনার পর ২০১৮ সালে এ উদ্যোগটি হাতে নেয় নির্বাচন কমিশন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট