চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সরকারি চাকুরেদের তিনটি ইনক্রিমেন্ট নবম বেতন কমিশন গঠনে চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা অফিস

৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৪:৪৮ পূর্বাহ্ণ

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সর্বশেষ জাতীয় বেতনস্কেল ঘোষণার প্রায় ৫ বছর হতে চলেছে। এরই মধ্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখী চাপে নিষ্পেষিত সরকারি চাকরিজীবীরা। তাই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য তিনটি ‘বিশেষ ইনক্রিমেন্ট’ ও ‘নবম বেতন কমিশন’ গঠনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আবেদন করেছে বাংলাদেশ সচিবালয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি।

জানা গেছে, গত ১ ডিসেম্বর বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অর্থ সচিবের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছ। করণীয় ঠিক করতে অর্থ বিভাগ এ বিষয়ে বিশ্লেষণও শুরু করেছে।

জানা গেছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জীবনযাত্রার মান ও ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে গত ২০১৫ সালে জাতীয় বেতনস্কেল ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ বেতন-ভাতা নির্ধারণ সংক্রান্ত একটি মন্ত্রিসভা কমিটি গঠনের জন্যও প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত ২০১৭ সালের ৯ মে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে (সমন্বয় ও সংস্কার) আহ্বায়ক করে নয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়, ভবিষ্যৎ বেতন-ভাতা নির্ধারণে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি তাদের জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রেখে এবং মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয়করণের উপায় নির্ধারণের লক্ষ্যে সার্বিক বিষয় বিচার-বিশ্লেষণপূর্বক একটি সুচিন্তিত সুপারিশমালা প্রণয়ন করবে। জানা গেছে, এ কমিটি গত ২০১৮ সালের শেষ দিকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো বিষয়ে একটি সুপারিশমালা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। এ প্রতিবেদনের উপর কয়েকটি বৈঠকও করে অর্থ বিভাগ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেতন বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।

মুলত, এ প্রেক্ষিতেই সচিবালয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি বলছে জাতীয় বেতনস্কেল, ২০১৫ জারি হওয়ার পর প্রায় ৫ বছর অতিবাহিত হতে চলেছে। ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, কল্যাণ ফান্ড, যৌথবীমা, পরিবহন খরচসহ অন্যান্য বিল কয়েক গুণ বেড়েছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেসরকারি বাসাভাড়া, পরিবহন, চিকিৎসা খরচ, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অনেক গুণ বেড়েছে। এছাড়া বর্তমান বেতনস্কেলে টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড সুবিধা না থাকায় নি¤œবেতনভুক্ত কর্মচারীদের সংসার পরিচালনা করতে আরও বেশি হিমশিম খেতে হচ্ছে । দ্রব্যমূল্যের এ ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি বিবেচনা করে আপাতত তিনটি ‘বিশেষ ইনক্রিমেন্ট’ ও ‘নবম বেতন কমিশন’ গঠনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সমিতি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট