অভিনেত্রী ও মডেল কাজী নওশাবা আহমেদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। মামলাটি বাতিল চেয়ে নওশাবার করা আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এবং আইনজীবী রিপন কুমার বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল আমিনুর রহমান চৌধুরী। রুলে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন ওই মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ওই আদেশের বিষয়ে  আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের জানান, ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলাটি করা হয়। ৫৭ ধারা বিলুপ্ত হয়ে ওই বছরের ৮ অক্টোবর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যকর হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৬১ ধারা অনুসারে সাইবার ট্রাইব্যুনালে সূচিত বা গৃহীত কোনো কার্যধারা বা কোনো মামলা যেকোনো পর্যায়ে বিচারাধীন থাকলে সেগুলো চলবে। তখন মামলাটি তদন্তাধীন ছিল। তবে গত ৩০ এপ্রিল ওই মামলায় অভিযোগপত্র দিলে সাইবার ট্রাইব্যুনাল গত ৩ সেপ্টেম্বর অভিযোগ আমলে নেন। আইন অনুযায়ী মামলার কার্যক্রম চলতে পারে না-এমন যুক্তিতে মামলাটি বাতিল চেয়ে আবেদনটি করা হয়।

ডেপুটি এটর্নি জেনারেল আমিনুর রহমান চৌধুরী জানান, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করার প্রক্রিয়া চলছে।

প্রসঙ্গত, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৪ আগস্ট ফেসবুক লাইভে গুজব সৃষ্টির দায়ে উত্তরা থেকে নওশাবাকে আটক করে র‌্যাব। পরদিন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় নওশাবার বিরুদ্ধে মামলা করে র‌্যাব-১ এর কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম। আদালতে হাজির হলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে রিমান্ডে নেয়া হয়।

এদিকে, গত বছরের ২১ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তাঁকে জামিন দেন।

পূর্বকোণ-রাশেদ