ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার তেতুলিয়া মোড়ে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বাদশা শেখ (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, তিনি পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি জনযুদ্ধ (এমএল) নেতা।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার তেতুলিয়া ব্রিজের পাশে বটতলা মেহগনি বাগানে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এসময় একটি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি ও দুইটি হাঁসুয়া উদ্ধার করা হয়।
নিহত বাদশা শেখ উপজেলার জোড়াপুকুর গ্রামের হেলাল উদ্দিন শেখের ছেলে।
হরিণাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, হরিনাকুন্ডু থানা পুলিশের একটি দল তেতুলিয়া এলাকায় টহলের জন্য যায়। সেখানে পৌঁছালে চরমপন্থি অস্ত্রধারীরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষরে মধ্যে অন্তত ২০ মিনিটি গুলি বিনিমিয় হয়। শেষে অস্ত্রধারী চরমপন্থিরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলবিদ্ধি এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে হরিনাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে ১টি ওয়ান শুটার গান, ১ রাউন্ড গুলি, ৪টি কার্তুজ ও দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বন্দুযুদ্ধের পর পরে স্থানীয়রা তার পরিচয় নিশ্চিত করে। এ ঘটনায় পুলিশের এসআই গোলাম সরোয়ার ও কনস্টেবল সোহেল আহত হয়েছেন। তাদের হরিণাকুন্ডু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত বাদশা শেখের বিরুদ্ধে হরিণাকুন্ডুসহ বিভিন্ন থানায় অন্তত ৭টি হত্যা মামলাসহ ১০টি মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।
পূর্বকোণ/পিআর