চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সিগন্যাল না দেখার অভিযোগ সঠিক নয় : তদন্ত কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৪ নভেম্বর, ২০১৯ | ১০:০৯ অপরাহ্ণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ চালক সিগন্যাল দেখতে না পাওয়া বললেও এ তথ্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তদন্ত কমিটির বিভাগীয় পর্যায়ে গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মো. নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ডাবল লাইনের কাজ পাওয়া ঠিকাদাররা সর্বোচ্চ সিকিউরিটি মেইন্টেইন করে কাজ করেছেন। তাছাড়া এর প্রকল্প পরিচালকও রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা। কংক্রিট বা বালি স্তুপ করে রাখার কারণে সিগন্যাল দেখতে না পাওয়ার বিষয়ে চালকের যে দাবি, তা ঠিক নয়।

ব্রেকের বিষয়ে জানতে চাইলে এ তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘ট্রেনের সম্পূর্ণ ব্রেকিং দূরত্ব ৪৪০ গজ। যা প্রায় আধ কিলোমিটার। যদি কেউ ব্রেক করতে চায় তাহলে আধ কিলোমিটারের মধ্যে গিয়ে ট্রেন থেমে যাবে। কিন্তু চালক বেশি জায়গা নিয়েছিলো। তবে চালকের (লোকোমাস্টার) ব্রেক করার যথেষ্ট সুযোগ ছিল। চালক কেন ট্রেন থামালেন না, তা খতিয়ে দেখছি। এছাড়া আমরা যে স্টাডিগুলো করেছি-ট্রেনের স্পিড ছিল কত? সিগন্যালের অবস্থান কি রকম ছিল? দুই পাশের স্টেশন মাস্টারের কিছু গোপন নাম্বার থাকে যেগুলোর মাধ্যমে লাইন ক্লিয়ার দেয়, ওই নাম্বারগুলো আমরা যাচাই করছি।’ দুর্ঘটনায় রেলওয়ের ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়ে তিনি বলেন, লোকোমোটিভ ক্ষতি হয়েছে ১৭ লাখ টাকা, কোচের ক্ষতি ২০ লাখ টাকা, ট্রেকের ক্ষতি হয়েছে ২০ হাজার টাকা।

দুর্ঘটনারোধে তদন্ত কমিটির সুপারিশ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের ট্রেনগুলো এখনো ব্রিটিশ আমলের আইন অনুযায়ী চলে। এখন অনেক ভালো টেকনোলজি এসেছে যা আমরা এডপ্ট করতে পারেনি। তবে আমরা একটি সুপারিশ করেছি সেটি হচ্ছে, কিছু ট্রেকিং ডিভাইস লাগানো যার মাধ্যমে সিগন্যাল ডেঞ্জার থাকা অবস্থায় চালক যদি কোন কারণে হিউম্যান ফল্ট করে তাহলেও কোন দুর্ঘটনা ঘটবে না। কারণ, সিগন্যাল দেখে ট্রেন অটোমেটিক থেমে যাবে। এছাড়া আমরা শক্তিশালী মোবাইল ডিভাইস ও নম্বরের ব্যবস্থা করছি যা প্রতিটি ট্রেনের জন্য আলাদা থাকবে। এতে করে ট্রেনের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সকলের সাথে যোগাযোগ করা সহজ হবে।

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার রেলের বিভাগীয় পর্যায়ের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। তবে তদন্তের কাজ ৯৯ ভাগ শেষ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন। শুধু এক ভাগ কাজ বাকি থাকায় তদন্ত প্রতিবেদন আজকে দেয়া যাচ্ছে না। আমরা শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) আবারও দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করব। ওইদিনই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেব।

পূর্বকোণ/আল-আমিন-রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট