চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বাদল ও খোকার মৃত্যুতে সংসদে শোকপ্রস্তাব গ্রহণ

গণতন্ত্রের আন্দোলনে বাদলের সক্রিয় ভূমিকা ছিল : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা অফিস

৮ নভেম্বর, ২০১৯ | ৩:০৭ পূর্বাহ্ণ

একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশন শুরু হয়েছে। গতকাল অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অবর্তমানে অধিবেশন পরিচালনার জন্য সভাপতিমন্ডলী মনোনয়নের পর চট্টগ্রাম-৮ আসনের সাংসদ ও বাংলাদেশ জাসদের কার্যকরী সভাপতি মঈন উদ্দীন খান বাদল এবং সাবেক মেয়র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার মৃত্যুতে শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করে জাতীয় সংসদ। শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। পরে, সংসদের প্রথা অনুযায়ী সাংসদ মঈনউদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে দিনের নির্ধারিত অন্যান্য কাজ স্থগিত রেখে অধিবেশন মুলতবি করা হয়। শোকপ্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, মঈন উদ্দীন খান বাদল কথা বলতেন এলাকার উন্নয়নের জন্য। সব সময় তিনি সক্রিয় ছিলেন। তার মৃত্যুতে এলাকাবাসীর ক্ষতি হয়েছে। সাথে সাথে রাজনীতির অঙ্গনে আমরা যারা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করেছি, আমরা যারা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি, এমনকি সেই আইয়ুববিরোধী আন্দোলন নিয়ে ছয় দফা আন্দোলন, উত্তরা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার আন্দোলন- প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের কার্যকরী সভাপতি মঈন উদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে আনা শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মঈন উদ্দীন খান বাদল ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান রয়েছে। তিনি সবসময় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন, শান্তিতে বিশ্বাসী ছিলেন। তিনি যখন ভাষণ দিতেন তখন প্রত্যেক মানুষের হৃদয়ে দাগ কেটে যেত। আমাদের দুর্ভাগ্য তার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর আমরা আর শুনতে পারব না। তিনি বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছাত্রলীগের একজন কর্মী ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি জাসদে যোগ দেন। আমরা যখন জোট গঠন করি তখন আমাদের সঙ্গে তিনি সক্রিয় ছিলেন। আন্দোলন, সংগ্রামে, রাজপথে এবং এই সংসদে তার সঙ্গে একসাথে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। রাজনৈতিক চিন্তা চেতনায় তিনি যথেষ্ট শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছেন। তার মৃত্যু আজকে আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি করেছে। মঈন উদ্দীন খান বাদলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, তার মরদেহ নিয়ে আসার জন্য ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমাদের হাইকমিশনার থেকে একজন কর্মকর্তা সেখানে পাঠিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, আমীর হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, মহীউদ্দীন খান আলমগীর, জাপা মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, শাজাহান খান, আ স ম ফিরোজ, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ মরহুম মঈন উদ্দীন খান বাদলের ওপর আলোচনায় অংশ নেন। তাঁরাও মঈন উদ্দীন খান বাদলের রাজনৈতিক জীবনের ওপর আলোকপাত করেন। পরে প্রয়াতের সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত হয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট