চীন বাংলাদেশকে জানিয়ে দিয়েছে তারা আর নতুন কোন প্রকল্প নেবে না। যে প্রকল্পগুলো রয়েছে তার বাস্তবায়নের উপরই নজর দেবে বেশি। বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগকে এক পত্র মারফত এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। পত্রে তারা জানিয়েছে, বিদ্যমান প্রকল্পগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দীর্ঘ সময় ধরে মূল্যায়ন করে তবেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন চীন এই সিদ্ধান্ত নিতে গেল তা নিয়ে নানা মত রয়েছে। ঢাকায় পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, চীন তার বৈদেশিক বিনিয়োগ নীতিতে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। আফ্রিকায় তার সাহায্য নীতিতে পরিবর্তনের আভাস স্পষ্ট। কারণ চীন দেখছে, বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প মার খাচ্ছে। দুর্নীতির কারণে প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে বহুগুণ। এর উদাহরণ হচ্ছে কেনিয়া।
২০১৩ সনে ক্ষমতায় আসার পর প্রেসিডেন্ট কেনিয়াত্তা দেশটির ঋণের বোঝা ৩ গুণ বৃদ্ধি করেছেন। চীনের সর্বশেষ সিদ্ধান্তে আটকে গেছে বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা চার লেন প্রকল্পে বিনিয়োগ। যদিও ২৭টি প্রকল্পে ২৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছিল। ২০১৬ সনের ১৪ই অক্টোবর ঢাকায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে শীর্ষ বৈঠকের পর দুটি দেশ ২৭টি চুক্তি স্বাক্ষর করে। প্রায় ৩ বছরে এই প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি খুবই কম। বাংলাদেশ তার প্রস্তাবিত বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়ক প্রকল্পে বিনিয়োগের গুরুত্বারোপ করে বলেছিল, বর্তমান বাস্তবতায় এই প্রকল্পগুলো গুরুত্বপূর্ণ। এই জন্য ৫৩৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ। সড়ক ও জনপথ বিভাগের তরফে ফরিদপুর টু কুয়াকাটা ২৩৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পথের জন্য দুটি আলাদা প্রস্তাব দেয়া হয়। ফরিদপুর থেকে বরিশাল, বরিশাল থেকে কুয়াকাটা চার লেনের হাইওয়ে আপগ্রেড করা। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক অবশ্য ফরিদপুর টু বরিশাল অংশে তহবিলের যোগান দিতে আগ্রহ ব্যক্ত করেছে।
সূত্র:ভিওএ
পূর্বকোণ/আল-আমিন