চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সংসদীয় কমিটি

বিদ্যুৎ বিভাগের ২৯৬১ জনের বিদেশ সফর তিন বছরে !

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ অক্টোবর, ২০১৯ | ৯:৫৫ অপরাহ্ণ

বিগত তিন বছরে বিদ্যুৎ বিভাগের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা অর্জনের নামে প্রকল্পের টাকায় ২ হাজার ৯৬১ জন সরকারি কর্মকর্তার বিদেশ সফরের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে কমিটির সদস্যরা প্রশ্ন তোলেন। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বৈঠকে জানান, প্রমোদ ভ্রমণে যায়নি কেউ। বিদ্যুৎ বিভাগের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা এসব সফর করেছেন বিদ্যুতের যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপনের অভিজ্ঞতার জন্য যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এসব তথ্য সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অষ্টম বৈঠকে পর্যালোচনা হয়। কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এতে অংশগ্রহণ করেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, মো. আবু জাহির, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর, মোছা. খালেদা খানম ও বেগম নার্গিস রহমান। এছাড়াও বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ও সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, কমিটি বৈঠকে বিদ্যুতের সিস্টেম লসের একটি স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ করার সুপারিশ করে। পাশাপাশি সুপারিশ গ্রহণ করা হয় সিস্টেম লসের পরিমাণ সহনীয় মাত্রায় কমিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ। এছাড়া বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ ও চুরিরোধে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করার কমিটি সুপারিশ করে।

এ সময় কমিটির প্রশ্নের জবাবে আরো জানানো হয়, দেশের যে সকল অবিদ্যুতায়িত পকেটসমূহে গ্রিড বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব হয়নি, চিহ্নিত করা হয়েছে এমন ১ হাজার ৬৯ টি অফগ্রিড গ্রাম। এর মধ্যে জুন, ২০২০ সালের মধ্যে ৬২০টি গ্রামে গ্রিডের মাধ্যমে দেয়া সম্ভব হবে বিদ্যুৎ সংযোগ। এছাড়া ২১টি সোলার মিনিগ্রিড, ১ হাজার ৩৭৪টি সোলার ইরিগেশন পাম্প এবং ৫.৮ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে গ্রামাঞ্চল এবং অফগ্রিড এলাকায় সোলার বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের জন্য। এছাড়া চলমান রয়েছে নতুন আরো ৬টি সোলার মিনিগ্রিড এবং ২৩২টি সোলার ইরিগেশন পাম্প স্থাপনের প্রক্রিয়া।

পূর্বকোণ/রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট