চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার প্রাক্তন প্রধানের বিচার শুরু

মানবতাবিরোধী অপরাধ

নিজস্ব প্রতিবেদক হ ঢাকা অফিস

১৭ অক্টোবর, ২০১৯ | ১:৪০ পূর্বাহ্ণ

মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক মুহাম্মদ ওয়াহিদুল হকের (৬৯) বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আগামী ২৪ নভেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছেন আদালত। গতকাল বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন জেয়াদ আল মালুম, সাহিদুর রহমান ও রেজিয়া সুলতানা চমন। অন্যদিকে, ওয়াহিদুল হকের পক্ষে ছিলেন

আব্দুস সোবহান তরফদার ও মিজানুর রহমান। পরে প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন বলেন, আজ এ মামলায় চার্জ ফ্রেমিং (অভিযোগ গঠন) হয়েছে। আগামী ২৪ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করে দিয়েছেন আদালত। আসামি ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে ৬শত মানুষকে হত্যার ঘটনায় একটি অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। যেটি গণহত্যার অভিযোগ হিসেবে বিচার হবে। এর আগে কয়েক দফা পিছিয়ে গতকাল এ মামলাটির অভিযোগ গঠন করা হয়।

গত বছরের ৩০ অক্টোবর আসামি ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে প্রসিকিউশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে প্রসিকিউশন পক্ষ তার বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালের ৫ ডিসেম্বর এ মামলার তদন্ত শুরু করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান। এরপর ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর এ মামলার তদন্ত শেষ হয়। এ মামলায় মোট ৫৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ বিকেল অনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে অভিযুক্ত ক্যাপ্টেন ওয়াহিদুল হক রংপুর ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ২৯ ক্যাভেলরি রেজিমেন্টের অ্যাডজুটেন্ট এর দায়িত্বে থেকে ৪টি সামরিক জীপে মেশিনগান লাগিয়ে গুলি বর্ষণ করে রংপুর সেনানিবাস এলাকায় ৫শ থেকে ৬শ স্বাধীনতাকামী বাঙ্গালীদের হত্যা, গণহত্যা ও অসংখ্য মানুষকে গুরুতর আহত করেছে। গুলি বর্ষণ করে সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। হত্যা, গণহত্যার শিকার মানুষের লাশ পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে কয়েকটি গর্তে মাটি চাপা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

গত বছরের ২৪ এপ্রিল সকালে আসামি ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর ওইদিন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর বারিধারার বাসা থেকে ওয়াহিদুল হককে গ্রেফতার করা হয়। ওই বছরের ২৫ এপ্রিল তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে বিচারপতি আমির হোসেনের নেতৃত্বে দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আসামি ওয়াহিদুল হককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে বন্দি আছেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট