চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

আবরার হত্যা মামলা: আসামি সাদাত গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক

১৫ অক্টোবর, ২০১৯ | ২:২৩ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এএসএম নাজমুস সাদাতকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ভোরে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার কাটলা বাজার এলাকা থেকে সাদাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

বুয়েটের যন্ত্র কৌশল বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাদাত ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন। বুয়েট ছাত্রলীগের এই কর্মী দিনাজপুর জেলার হিলি সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন বলে পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান জানান।

বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে গত ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়।

উল্লেখ্য, রবিবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে বুয়েটের সাধারণ ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফাহাদকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র জানায়, বুয়েটের শেরেবাংলা হলের শিক্ষার্থী, সিসিটিভি ফুটেজ ও আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে।

সূত্র জানায়, ফাহাদকে জেরা ও পেটানোর সময় হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে অমিত সাহা, মুজতাবা রাফিদ, ইফতি মোশাররফ ওরফে সকালসহ তৃতীয় বর্ষের আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিলেন। ওই কক্ষে এসে দ্বিতীয় দফায় ফাহাদকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক ও নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একই বর্ষের মেফতাহুল ইসলাম জিয়নসহ কয়েকজন। তারা সবাই মেহেদী হাসান রাসেলের অনুসারী।

আবরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে গত সোমবার সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন তার বাবা বরকত উল্লাহ্।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট