চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

গণভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

কিসের ছাত্রলীগ, কাউকে ছাড় নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা অফিস

১০ অক্টোবর, ২০১৯ | ২:৩৭ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের যত ধরনের শাস্তি আছে সব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। কিসের ছাত্রলীগ, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কারো দাবির অপেক্ষায় তো আমি বসে থাকিনি। সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশ দিয়েছি, গ্রেপ্তার শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলন শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি সফর সম্পর্কে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন।

বিশ্ব অর্থনীতি ফোরামের ভারত অর্থনৈতিক সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী গত ৩ অক্টোবর ৪ দিনের সফরে নয়াদিল্লি যান। সেখানে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ (ইউএনজিএ)-এর ৭৪তম অধিবেশনে যোগদানের উদ্দেশে তিনি ২২ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখানে আমি আপনাদের মাঝেই বলে দিচ্ছি, সেটা করব, করব।

আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনারা বের করে দেন যে, কোথায়, কারা এই ধরনের অনিয়ম, উছৃঙ্খলতা করছে। কোনও দল টল আমি বুঝি না। পরিষ্কার কথা, কোনও দল আমি বুঝি না। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি ছাত্রের পেছনে সরকারি অর্থ খরচের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামান্য টাকা ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৩০ টাকায় সিট ভাড়ায় একেকজন রুমে থাকবে। আর তারপর সেখানে বসে এই ধরনের মাস্তানি করবে। আর সমস্ত খরচ বহন করতে হবে জনগনের পয়সা দিয়ে। এটা কখনও গ্রহণযোগ্য না। কেউ যদি কোনো অপরাধ করে, সে যে দলই করুক না কেনো তার বিচার হবে।’

আবরার হত্যাকা-ের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ঘটনা শুনে তখনই সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করতে বলেছিলাম। যখন পুলিশ সিসিটিভি নিয়ে আসছে তখন তাদের ঘেরাও করা হলো। তাদের ফুটেজ নিয়ে আসতে দেয়া হবে না। আমাকে জানানো হলো ফুটেজ নিয়ে আটকে দেয়া হয়েছে। আমার প্রশ্ন ছাত্ররা তাদের আটকে দিলো কেনো? তিনি যোগ করেন, এরপর আমি যাদের ফুটেজে দেখা গেছে- তাদের মধ্যে যাদের পেয়েছি তাদের এরেস্ট করিয়েছি।

আমি আইজিপিকে বলেছি, যথাযথ ব্যবস্থা নিতে। কে ছাত্রলীগ, কে ছাত্রদল। আমি তা বিবেচনা করি না। কি অমানবিক। একটা ছাত্রকে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হলো! এক সময় আমাদের অনেক নেতাকর্মীদের এভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি কখনোই অন্যায় মেনে নিবো না। আমার দল হলেও কিছু আসে যায় না।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমি আশার পর থেকে চেষ্টা করছি ক্যাম্পাসগুলোতে এ ঘটনা যেনো না ঘটে। একটা সময় দুপুর দুইটার পর ঢাবিতে ক্লাসই হতো না। ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসছে। যে অন্যায় করেছে সে অন্যায়কারী। গ্রেপ্তার শুরু হয়ে গেছে।
পরিবার হারানো কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি তো বাপ-মা, ভাই-বোন, সব হারিয়েছি। আমি তো কষ্টটা বুঝি। একটা মেধাবী ছাত্র (আবরার) হারালে মায়ের যে কি কষ্ট আমি বুঝি। অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। তারা কোন দলের বা কি কিছু দেখা হবে না। অপরাধী- অপরাধীই।

দেশের স্বার্থ শেখ হাসিনা বিক্রি করবে, তা হতে পারে না : ফেনী নদীর পানি ভারতে দেওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেউ পান করার জন্য পানি চাইলে তা না দিলে কেমন দেখায়। ভারতের ত্রিপুরার রাজ্যের একটি এলাকায় সামান্য পানি দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, ত্রিপুরায় প্রাকৃতিক গ্যাস নয়, এলপিজি রপ্তানি করা হবে। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ভারতকে যে গ্যাস দিব, তা আমাদের নিজেদের গ্যাস নয়, আমদানিকৃত এলজিপি অর্থাৎ বটল গ্যাস। আমরা দেশের কোনও প্রাকৃতিক গ্যাস ভারতকে দিচ্ছি না। তিনি বলেন, এলপিজি প্রাকৃতিক গ্যাস নয়। আমরা এলপিজি আমদানি করে তা ভারতের বন্ধু রাজ্য ত্রিপুরায় রপ্তানি করব। এরফলে আমাদের রপ্তানি তালিকায় আরও একটা আইটেম যুক্ত হবে। তাই দেশের স্বার্থ ক্ষুণœ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করতেই আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। এলপিজি গ্যাস সেক্টর আমরা উন্মুক্ত করে দেওয়ায় এখন অল্প দামেই গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। দেশে বর্তমানে ২৬টি কোম্পানি কাজ করছে। ১৮টি কোম্পানি গ্যাস উৎপাদন করছে। আমরা আমদানি করে সে গ্যাসই ত্রিপুরায় দিচ্ছি। এখানে আমাদেরই লাভ হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফেনী নদীর উৎপত্তিস্থল খাগড়াছড়িতে। এটা ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী একটি নদী। সীমান্তবর্তী নদীতে দুই দেশেরই অধিকার থাকে। ত্রিপুরার সাবরুম এলাকার মানুষ খাবার পানির জন্য ভু-গর্ভস্থ থেকে পানি তোলে। সীমান্তবর্তী হওয়ায় এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ে। তাই সামান্য পানি তাদের দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের খাবার পানির জন্য ভারতের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। যে পানি দেওয়া হচ্ছে, তা অত্যন্ত নগণ্য। একটি ইউনিয়নের জন্য খাবার পানি নেবে তারা। কেউ যদি পানি পান করতে চায়, আর আমরা যদি না দিই এটা কেমন দেখায়। আমাদের তো আরও সীমান্তবর্তী নদী আছে। সেটাও তো আমাদের চিন্তা করতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে কতো গ্যাস আছে, তা গবেষণা করে না বের করা পর্যন্ত আমি বিক্রি করতে পারি না। আমি দেশের স্বার্থবিরোধী কোনও কাজ করতে পারি না।

যুক্তরাষ্ট্রের অনেকেই গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাকে যুক্তরাষ্ট্রের অনেকেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমাকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যাওয়া হলেও আমি একই কথা বলেছিলাম। একদল গবেষক সার্ভে করে জানিয়েছিল প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রি করা যাবে। আমি তখন সঠিক তথ্য জানতে চাইলে গবেষকদল কত গ্যাস আছে তা সঠিকভাবে বলতে পারেনি। ‘বাংলাদেশের স্বার্থ শেখ হাসিনা কখনও বিক্রি করবে না’ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ত্রিপুরা থেকে আমরা বিদ্যুৎ কিনছি। ভারতের সাথে আমাদের সুসম্পর্ক অনেক আগে থেকেই।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ত্রিপুরা কিছু চাইলে আমাদের তাদের দিতে হবে। ১৯৭১ সালে ত্রিপুরাবাসী আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল। ওই অঞ্চল আমাদের জন্য বিরাট একটা শক্তি ছিল। খুব স্বাভাবিকভাবে তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক ছিলো, থাকবে।
পোর্ট কেউ একা ব্যবহারের জন্য তৈরি করে না : অনেকদিন ধরে পড়ে থাকা ঠাকুরগাঁও বিমান বন্দর চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বিমানবন্দরটি চালু করতে দীর্ঘদিন যাবত দাবি জানিয়ে আসছিলেন ঠাকুরগাঁওবাসী। দেশের বন্দর বিদেশিদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া নিয়ে সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পোর্ট কেউ একা ব্যবহারের জন্য তৈরি করে না। নেপাল, ভারত, ভুটান আমাদের বন্দর ব্যবহার করতে পারে। সেক্ষেত্রে আমাদের শুল্ক আয় হবে। সে কারণেই ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর নেপাল ও ভুটানকে ব্যবহারের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আঞ্চলিক সহযোগিতা না বাড়ালে উন্নতি হবে কীভাবে। কেউ তো আর একা একা উন্নতি করতে পারে না।
‘মানুষের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব আমার, এ নিয়ে প্রশ্ন কেন?’

দেশকে, দেশের মানুষকে আপন বলে মনে করেন বলেই কখন, কোথায়, কী ঘটছে তা কঠোরভাবে নিজ দায়িত্বে নজরদারি করেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি মনে করি এই রাষ্ট্র, এই দেশ আমার। এই দেশের মানুষ আমার মানুষ। তাদের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব তো আমারই। আমি যতক্ষণ পারি, সেই দায়িত্ব পালন করি। এটা নিয়ে এত প্রশ্ন কেন, সেটা আমার বোধগম্য নয়। সংবাদ সম্মেলনে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন, কোনো অপরাধ ঘটলে অপরাধীদের ধরতে প্রধানমন্ত্রীকেই কেন নির্দেশনা দিতে হয়? কিংবা ছাত্রলীগের কেউ অপরাধ করলে তাকে বহিষ্কার করতেও কেন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকেই নির্দেশ আসতে হয়?

এ প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি বুঝি না, কেন বারবার এ প্রশ্ন সামনে আসে। আমি সরকারপ্রধান, দেশের কোথাও কিছু ঘটলে অবশ্যই তা দেখার দায়িত্ব আমার আছে। আমি তো ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেশ চালাই না। তিনি বলেন, মাথা থাকলে মাথা ব্যথা থাকবেই। আমি সরকারপ্রধান। ফলে কোথায় কী ঘটছে, সেদিকে সার্বক্ষণিক নজর রাখা আমার কর্তব্য। আমাকে তো এটা কেউ চাপিয়ে দিচ্ছে না। আমি নিজের অনুভূতি থেকেই এটা করি। কখন কে কী বলবে, ওই চিন্তা কখনো করি না। দেশের জন্য ভাবি বলেই সব কাজ করি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, এর আগে একজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, ১২টা পর্যন্ত ঘুমিয়ে রাতে ব্যস্ত হতেন। এগুলো দেখে আপনাদের বদঅভ্যাস হয়ে গেছে। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেশ রাষ্ট্র চালানো দেখেছেন আপনারা, তাই অভ্যাস খারাপ হয়ে গেছে আমার এটাই মনে হচ্ছে। আমি সবদিকে নজর না রেখে যদি এখন বলতাম— পানির কথা ভুলে গেছি, তাহলে নিশ্চয় খুশি হতেন।

‘নিজের জীবনী নিয়ে লেখার ইচ্ছাও নেই, চিন্তাও নেই’
আজীবন মানুষের কল্যাণেই নিজেকে বিলিয়ে দিতে চান, কেউ তাকে মনে রাখবে কি রাখবে না তা নিয়ে কোনো ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যে কারণে নিজের জীবনী লেখারও কোনো ইচ্ছা বা চিন্তা-ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়মিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখে থাকেন। এসব লেখার অনেকগুলোতেই বিচ্ছিন্নভাবে তার জীবন সম্পর্কে অনেক কথাই উঠে এসেছে। এ বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি আগামীতে তার পূর্ণাঙ্গ একটি আত্মজীবনী লিখবেন কি না। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি রাজনীতিতে এসেছি আবার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেখে। তার লক্ষ্য ছিল দেশের মানুষের উন্নয়ন, দেশের মানুষকে একটা উন্নত জীবন দেওয়া। কিন্তু আমি তো আমার পরিবারের সবাইকে হারিয়েছি। এরকম সর্বহারা অনেকেরই রাজনীতিতে আসার মানসিকতা থাকে না। শেখ হাসিনা বলেন, অনেক দেশের অনেক রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধানকে মেরে ফেলা হয়েছে। তাদের ছেলে-মেয়েদের অনেকেই রাজনীতি আসে না। কিন্তু অনেকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, তারা বলেছেন, তারা আমাকে দেখে রাজনীতিতে এসেছেন। আমি তো রাজনীতিতে এসেছি বঙ্গবন্ধুর জন্য। মানুষকে নিয়ে তার যে চিন্তা ছিল, মানুষকে তিনি দারিদ্র্যমুক্ত করবেন, শুধু ওই একটা চিন্তা থেকেই কাজ করে যাচ্ছি। আমার কথা কেউ মনে রাখুক, এই চিন্তা নেই।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, বঙ্গবন্ধু তার জীবন দেশের জন্য উৎসর্গ করে দিয়ে গেছেন। তার নামটাই সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলা হলো দেশের ইতিহাস থেকে। এমন অপবাদ দেওয়া হলো, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, শুধু মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য ওইসব অপবাদ ছড়ানো হয়েছে। আমার কাজ ওইসব অপবাদের জবাব দেওয়া। আর বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা আমার কাজ।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমাকে কেউ বলে যায়নি যে এসব আমাকে করতে হবে। আমি মনের তাগিদ থেকে করি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে শুধু এই একটিই চিন্তা। আমার মা-বাবা আমার কাছে কিছু চাননি। আমার মা, আজীবন তিনি বাবার পাশে থেকে সাধাসিধে জীবনযাপন করে গেছেন। আমার দাদা-দাদীকে দেখেছি, তারাও খুব সাধারণ ছিলেন। ছেলে বড় হয়ে পয়সা কামাবে, তাদের পয়সা দেবে, এই কথা কখনো তারা বলেননি। উল্টো ছেলের কখন কী লাগবে, তারা সবসময় সেইটা দেখতেন। আমি এইরকম একটি পরিবারে বড় হয়েছি। তাই আমার নিজের জীবন নিয়ে কিছু লেখার ইচ্ছাও নেই, লেখার কোনো চিন্তাও নেই।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট