আজ ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম শাহাদাতবার্ষিকী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর একদল কর্মকর্তা ও সৈনিকের হাতে সপরিবারে জীবন দিতে হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তার পরিবারের ছয় বছরের শিশু থেকে শুরু করে অন্তঃসত্ত্বা নারীও সেই দিন ঘাতকের গুলি থেকে রেহাই পায়নি। বঙ্গবন্ধুকে জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় দাফন করা হলেও পরিবারের অন্য সদস্যদের ঢাকার বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ পুরো আগস্ট মাস জুড়ে শোক পালনে নানা কর্মসূচির আয়োজন করত। এবারও সেই রকম ঘোষণা ছিল। কিন্তু ছাত্র-জনতার প্রবল গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে চলে যান। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের অনেকেও দেশ ছাড়েন। এছাড়া, অনেক নেতাকর্মী আত্মগোপনে চলে যান। ফলে আগস্ট জুড়ে ঘোষিত শোকের মাসের কর্মসূচিগুলো আর হয়নি।
এদিকে, আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে ভাবগম্ভীর পরিবেশে জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্ট পালন করার আহ্বান জানান। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু ভবনে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও দোয়া মোনাজাত করে সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করুন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বাংলাদেশের মানুষের মঙ্গল করুন।
পূর্বকোণ/এসএ