কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে প্রথমে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ এবং পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারি করা হলে যশোরের বেনাপোল বন্দরে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রমে নেমে আসে স্থবিরতা।
চার দিন পর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হলে বন্দরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে। তবে এ সময়ের মধ্যে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কিছু পচনশীল পণ্য আনা নেওয়া করা হলেও তা ছিল প্রয়োজনের তুলনায় খুবি কম।
ইন্টারনেট সেবা চালুর পর গত পাঁচ দিনে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে ঢুকেছে এক হাজার চারশ ১৪টি ট্রাক; আর পণ্য নিয়ে চারশ ৯৩টি ট্রাক ভারত গেছে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম।এ ছাড়া আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপারসহ বন্দর ও কাস্টমসের সকল কাজকর্মে গতি ফিরেছে।বন্দর কর্তৃপক্ষ ও শুল্ক কর্মকর্তারা বলছেন, স্বাভাবিক সময়ের মতো অফিস খোলা হচ্ছে। দ্রুত পণ্যচালান খালাসের জন্য তারা সব সময় প্রস্তুত। এ জন্য শুল্কায়নসহ সকল কাজকর্ম করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ২৩ জুলাই ভারত থেকে এসেছে ৩৭ ট্রাক পণ্য আর রপ্তানি হয়েছে ৩৬ ট্রাক পণ্য। ২৪ জুলাই আমদানি হয়েছে ৩৩৮ ট্রাক পণ্য আর রপ্তানি হয়েছে ৪২ ট্রাক পণ্য।
২৫ জুলাই আমদানি হয়েছে ৩৬৬ ট্রাক পণ্য আর রপ্তানি হয়েছে ৯৭ ট্রাক পণ্য। ২৭ জুলাই আমদানি হয়েছে ৩৪৮ ট্রাক পণ্য আর রপ্তানি হয়েছে ১৮৩ ট্রাক পণ্য। ২৮ জুলাই আমদানি হয়েছে ৩২৫ ট্রাক পণ্য আর রপ্তানি হয়েছে ১৩৫ ট্রাক পণ্য।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৬০০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি এবং ২০০ ট্রাক পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়ে থাকে। আমদানি পণ্য থেকে প্রতিদিন সরকারের রাজস্ব আসে ৩০ কোটি টাকার মতো।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ