চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

দুদক চেয়ারম্যানের প্রশ্ন

ঘুষ খাওয়া কি সরকারি দায়িত্ব

৮ অক্টোবর, ২০১৯ | ৩:১৭ পূর্বাহ্ণ

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ে এক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ দুইজনকে ঘুষের টাকাসহ আটকে আইনের ব্যত্যয় ঘটেনি বলে মনে করেন দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। সোমবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আনিসুর রহমান ও অফিস সহকারী মো. জুলফিকারকে ঘুষের ৫০ হাজার টাকাসহ আটক করে দুদক। গত ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর সরকারি চাকরি আইনে বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব

পালনের সঙ্গে সম্পৃক্ত অভিযোগে দায়ের করা ফৌজদারি মামলায় আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ আগে ওই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করতে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। ঠাকুরগাঁওয়ে দুই সরকারি কর্মচারীকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়ার বিষয়ে সাংবাদিকরা দুদক প্রধান কার্যালয়ে চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন।- বিডিনিউজ

জবাবে তিনি বলেন, আমার যতটা মনে আছে সরকারি কর্মচারী আইনে বলা হয়েছে সরকারি দায়িত্ব পালনকালে যদি কোনো ফৌজদারি মামলা হয়, তবে চার্জশিট না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে সরকারের অনুমতি ছাড়া গ্রেপ্তার করা যাবে না।

পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ঘুষ আদান-প্রদান কি সরকারি দায়িত্ব? ঘুষ খাওয়া কি সরকারি দায়িত্বের মধ্যে পড়ে?

ইকবাল মাহমুদ বলেন, কমিশন আইনের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাশীল। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ঘুষ খাওয়া সরকারি দায়িত্ব নয়। বর্তমান সরকার যেভাবে ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি অনুসরণ করছে, কমিশন ঠিক একই নীতি বাস্তবায়ন করছে। এখানে ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নেই। মহান সংসদে যেসব আইন পাস হয়, তার প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা রেখেই দায়িত্ব পালন করছে কমিশন।

দুদকের দিনাজপুর সমন্বিত কার্যালয়ের পরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমান জানিয়েছেন, ঠাকুরগাঁওয়ের দুইজনকে ‘ঘুষের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই আটক করা হয়েছে’।

কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আহসানুল কবির পলাশ বলেন, দুদকের একটি দল সোমবার সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে।

আনিছুর ও জুলফিকারকে আটকের সময় জুলফিকার আলীর ড্রয়ার থেকে ঘুষের ৫০ হাজার উদ্ধার করা হয়। আটক দুইজনকে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট