চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

রোহিঙ্গাদের এনআইডি জালিয়াতি

ইসি কর্মকর্তা শাহানুর মিয়া ঢাকা অফিস থেকে গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:৩৩ পূর্বাহ্ণ

রোহিঙ্গাদের ভোটার করার অপচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইসির জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের কর্মকর্তা শাহানুর মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন থেকে তাকে আটক করেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসির যুগ্ম সচিব ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশনস) আবদুল বাতেন। আটক শাহনুর মিয়া এনআইডি অনুবিভাগে টেকনিক্যাল এক্সপার্ট হিসেবে কর্মরত। তিনি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মাওলানা মুহিব উল্লাহ খানের বাড়ির মো. আবদুচ ছবুরের পুত্র।

জালিয়াতির মাধ্যমে রোহিঙ্গা নাগরিকদের ভোটার ভোটার করার জন্য তিনটি সিন্ডিকেট চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দুদক। এরমধ্যে দুইটি সিন্ডিকেটের প্রধান হোতা জয়নাল আবেদীন ও মোস্তাফা ফারুক পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। আরেকটি সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে ছিল শাহনুর। শাহানুর মিয়া শুধু জালিয়াতির মাধ্যমে শুধু রোহিঙ্গাদের ভোটার করেনি। নির্বাচন কমিশনের অতি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বমানের এই স্মার্টকার্ডও নকল করেছেন শাহানুর মিয়া। কর্ণফুলী উপজেলায় এখনো স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্টকার্ড) বিতরণ করেনি নির্বাচন কমিশন। তবে জালিয়াতির মাধ্যমে ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারী কর্ণফুলী উপজেলার এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ আটজনকে স্মার্টকার্ড বানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

শাহানুর মিয়ার মিয়া ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের টেকনিকেল সাপোর্ট হিসেবে কর্মরত থাকার সুবাদে ইসি’র কেন্দ্রীয় সার্ভার ছিল তাদের হাতের নাগালে। ইচ্ছেমতো ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের ভোটার নিবন্ধন করাসহ নানা ধরনের অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। শাহানুর মিয়া রোহিঙ্গাদের ভোটার করার জন্য ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিতেন বলে দুদকে দায়ের করা এক অভিযোগসূত্র জানায়।

ইসির যুগ্ম সচিব ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশনস) আবদুল বাতেন বলেন, ‘ডিবি পুলিশ শাহানুরকে সোমবার বিকেলে আমাদের অফিস থেকে আটক করেছে। তদন্তের সূত্র ধরে রোহিঙ্গাদের ভোটার করার অপচেষ্টার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিটিটিসি চট্টগ্রামের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাদের একটি টিম ঢাকায় অভিযানে গিয়েছে। তবে এই টিম এখনও চট্টগ্রামে এসে পৌঁছায়নি। ফলে এ বিষয়ে এখনই বিস্তারিত জানানো যাচ্ছে না।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট