চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

সম্রাটসহ ১৪ জনের ব্যাংক হিসাব তলব

জি কে শামীম ও খালেদের ব্যাংক হিসাব জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক , ঢাকা অফিস

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:৩৩ পূর্বাহ্ণ

রিমান্ডে থাকা যুবলীগ নেতা জি কে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার ব্যাংক হিসাব স্থগিত (অবরুদ্ধ) করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটসহ ১২ জনের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। এর মধ্যে শামীমের ব্যাংক হিসাবে ৩০০ কোটি টাকা আছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ব্যাংক হিসাব তলবের তালিকায় ১২ জনের মধ্যে রয়েছেন সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, ফারজানা চৌধুরী, যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, প্রশান্ত কুমার হালদার, আফসার উদ্দীন মাস্টার, আয়েশা আক্তার, শামীমা সুলতানা, শেখ মাহমুদ জোনাইদ, মো. জহুর আলম, এসএম আজমল হোসেন, ব্রজ গোপাল সরকার ও শরিফুল আওয়াল।
এদিকে জি কে শামিম, তার স্ত্রী ও মায়ের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। একই সঙ্গে ফকিরাপুলের ইয়াংমেনস ক্লাবের অবৈধ ক্যাসিনো মালিক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার ব্যাংক হিসেব জব্দের প্রক্রিয়াও চলছে বলে জানা গেছে। রিমান্ডে থাকা জি কে শামীমের ব্যাংক হিসাবে ৩০০ কোটি টাকা রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এই নির্দেশনা জারি করে।

এ সম্পর্কে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া জানান, এনবিআরের নিয়ন্ত্রণাধীন সিআইসি থেকে জি কে শামীম, তার স্ত্রী এবং তার মায়ের ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেওয়া হয়। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের সকল ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে। আমরা তাদের ব্যাংক হিসাবে কী পরিমাণ টাকা রয়েছে সেটি দেখব। আর্থিক লেনদেনের হিসাব নেওয়া হবে। এরপর ট্যাক্স প্রসঙ্গ কিছু রয়েছে কিনা সেটিও দেখা হবে। তবে ট্যাক্স যদি ফাঁকি দেওয়া হয় তাহলে আমরা ট্যাক্স আদায় করে ছেড়ে দেব। কেননা ট্যাক্স আদায় করা আমাদের কাজ।
সূত্র জানায়, গত রবিবার সকালে জি কে শামীমের হিসাব থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য বড় বড় অঙ্কের চেক কয়েকটি ব্যাংকে জমা পড়ে। এরপর ব্যাংকগুলো থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগাযোগ করে পরামর্শ চাওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক দুপুরের মধ্যেই এই নির্দেশনা জারি করে।

এদিকে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, খালেদ ও জিকে শামীম রিমান্ডের প্রথম দিন নিজেদেরকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করার চেষ্টা করেছিলেন। পরবর্তীতে তথ্য প্রমাণ তাদের সামনে উপস্থাপন করা হলে তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নেন। ওই দুই নেতা জানিয়েছেন, তাদের অবৈধ কর্মকা-ের পেছনে রয়েছেন প্রভাবশালী নেতারা। তাদের আশ্রয় প্রশ্রয়েই তারা নিজেদের ব্যবসা সম্প্রসারিত করেছেন।

মামলা সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ওরা যাদের নাম বলেছেন, তাদের নাম দেখে তারা নিজেরাই বিস্মিত হয়েছেন। সবার কাছে এসব নেতাদের একটা ক্লিন ইমেজ আছে। অথচ এরাই খালেদ ও শামীমকে পরেক্ষাভাবে সহায়তা করেছেন। বিনিময়ে পেয়েছেন মোটা অংকের টাকা। ওই কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীতে ক্যাসিনো এবং চাঁদাবাজি যারা নিয়ন্ত্রণ করত, তাদের অনেক নামই গ্রেপ্তারকৃতরা প্রকাশ করেছেন। পর্যায়ক্রমে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট