চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

এনআইডি কেলেঙ্কারিতে ইসির ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ৬:৫৫ অপরাহ্ণ

রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার অপচেষ্টায় জড়িত রয়েছেন নির্বাচন কমিশনের ১৫ জনের মতো কর্মকর্তা-কর্মচারী। বিভিন্ন অপরাধে তাঁদের বেশির ভাগই চাকরিচ্যুত। আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম।

প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ভোটার তথ্যে সার্ভারের প্রেজেন্টেশন তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল সার্ভার সম্পূর্ণ সুরক্ষিত অবস্থায় আছে। অনেকেই না জেনে বলছেন, ইসির সার্ভারে রোহিঙ্গা ভোটার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কিন্তু আগামী ২৪ জানুয়ারির আগে ইসির মূল সার্ভারে ঢোকার সুযোগ নেই। কেননা, আইন অনুযায়ী মূল সার্ভারে তথ্য সন্নিবেশ করার আগে ১ জানুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। এরপর দাবি-আপত্তি নিয়ে নিষ্পত্তি করা হয়। আর আবারও যাচাই করে ২৪ জানুয়ারির পর মূল সার্ভারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাই চলমান হালনাগাদে টেম্পোরারি সার্ভারে ঢুকেছে রোহিঙ্গারা। আমরা ৬১ জনের মতো চিহ্নিত করেছি।’

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল বলেন, ‘আমরা ফাঁদ পেতে একটি চক্রকে ধরতে সক্ষম হয়েছি। সামরিক বাহিনীতে আমরা যেটা অ্যামবুশ বলি। এতে আমাদের ডবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিসের কর্মচারী জয়নালকে প্রথমে চিহ্নিত করা হয়। এরপর অন্যদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এ সংখ্যাটা ১৫ জনের বেশি হবে না।’

সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘এই অপচেষ্টার সঙ্গে জড়িতদের বেশির ভাগই ইসি থেকে আগই চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন। তাঁরা ইসির বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করতেন। আমরা ইতিমধ্যে আমাদের সব উপজেলা কর্মকর্তা এবং যাঁরা আমাদের লোকবল সাপ্লাই দেন, তাঁদের বলেছি, আগে চাকরিচ্যুত ব্যক্তিরা যেন ভোটার তালিকার কাজে কোনোভাবে সম্পৃক্ত হতে না পারেন।’

সংবাদ সম্মেলনে ইসির সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, ‘কেউ যাতে ভবিষ্যতে রোহিঙ্গাদের টেম্পোরারি সার্ভারেও যুক্ত করতে না পারেন, সেজন্য সব কর্মকর্তার পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে দিয়েছি। এছাড়া সার্ভারে ঢোকার জন্য ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) মেসেজের ব্যবস্থা করেছি। ব্যবস্থা করা হয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে অন্তর্ভুক্তির।’

 

পূর্বকোণ/রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট