চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

এখন কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরুচ্ছে : ফখরুল

২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:১১ পূর্বাহ্ণ

ক্যাসিনো বন্ধে র‌্যাবের অভিযানে যুবলীগ নেতাদের সম্পৃক্ততাকে ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতির প্রমাণ হিসেবে দেখালেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শনিবার দলের এক কর্মসূচিতে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, “এখন কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরুচ্ছে।” ফখরুল বলেন, “সরকার আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয়েছে দুর্নীতিতে। তাদের একেবারে উচ্চ পর্যায় থেকে তৃণমূলের কর্মী পর্যন্ত দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। তারই কিছু প্রমাণ আপনারা

গত কয়েকদিন ধরে দেখছেন। “ঢাকা মহানগর থেকে শুরু করে যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পর্যন্ত সবখানেই তারা আজকে যে ভয়াবহ আকারে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়েছে, এটা দেশের জন্য, জনগণের জন্য অত্যন্ত ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।”-বিডিনিউজ
জুয়ার আখড়া বন্ধে গত কয়েকদিনে র‌্যাবের অভিযানে যুবলীগের বিভিন্ন নেতার সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে এসেছে। তার আগে চাঁদা দাবির অভিযোগ ওঠায় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পদচ্যুত করা হয়।
জুয়ার আখড়ায় সম্পৃক্তদের আগে বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদলে যুক্ত থাকার বিষয়টিও উঠে এসেছে, যা বলছেন আওয়ামী লীগের নেতারাও।

এনিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এই ধরনের কথা-বার্তা বলে তো লাভ নেই। দেশের মানুষ বোঝে। এটা তারা এড়িয়ে যেতে চায়। আপনারা দেখছেন, ধর্মের কল বাতাসে নড়তে শুরু করেছে।”
ক্যাসিনো ব্যবসা বিএনপির আমলেই শুরু হয়েছে বলে সরকারের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল বলেন, “উনাকে জিজ্ঞাস করেন তো এটা (ক্যাসিনো) পত্র-পত্রিকায় কখন সামনে এসেছে? বিএনপির আমলে তো কখনও মিডিয়াতে আসেনি।
“আজকে পত্র-পত্রিকা, টেলিভিশনে যেভাবে এসেছে, এতে প্রমাণিত হয়ে গেছে যে, আওয়ামী লীগ সরকার শুধু দুর্নীতি নয়, তারা বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক কাঠমো তা ভেঙে ফেলছে, সামাজিক কাঠামো তা ভেঙে ফেলছে এবং এদেশকে সত্যিকার অর্থে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।”

সকালে ছাত্রদলের নতুন নেতাদের নিয়ে শেরে বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিতে যান ফখরুল। সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ছাত্রদলের কাউন্সিল আয়োজন করা হয় গত বুধবার। তাতে ফজলুর রহমান খোকন সভাপতি এবং ইকবাল হোসেন শ্যামল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ছাত্রদলের কাউন্সিলের অর্জন কী- প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আপনারা নিজেরাই দেখলেন, সরকারের সমস্ত ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ভেদ করে, আদালতকে তারা(সরকার) ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে, অত্যন্ত সফলভাবে ছাত্রদলের কাউন্সিল হয়েছে। নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে এই কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে।”
ছাত্রদলের নবনির্বাচিত দুই নেতাসহ সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মীদের জিয়ার কবরের সামনে আন্দোলনের শপথ করার ফখরুল।

এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ছাত্রদলের সাবেক নেতা আবুল খায়ের বাবলু, আসাদুজ্জামান রিপন, ফজুলুর রহমান মিলন, খায়রুল কবির খোকন, শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আজিজুল বারী হেলাল, সাইফুল আলম নিরব, শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, আমিরুল ইসলাম খান আলীম, শহিদুল ইসলাম বাবুল, আবদুল আউয়াল খান, হাবিবুর রশীদ হাবিব, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান, ইয়াসীন আলী।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট