যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে আটকের প্রায় ২৪ ঘণ্টার পর গুলশান থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে তাদের গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলশান থানার ডিউটি অফিসার এসআই মো. সাদেক।
তিনি জানান, তাদের বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও মানি লন্ডারিংয়ে তিনটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর নিকেতনে তার ব্যবসায়িক কার্যালয় জি কে বিল্ডার্স থেকে শামীমকে আটক করা হয়। বিকেলে রাজধানীর গুলশানের নিকেতনের অফিসে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র্যাব। অভিযানে এক কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ১৬৫ কোটি টাকার ওপরে এফডিআর (স্থায়ী আমানত) পাওয়া যায়, যার মধ্যে তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি ও ২৫ কোটি টাকা তার নামে। পাওয়া যায় মার্কিন ডলার, মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র।
জানা যায়, এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম ‘শামীম ঠিকাদার’ নামে পরিচিত। রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় শামীম ঠিকাদারি কাজ করে থাকেন। শুধু তাই নয় গণপূর্ত ভবনের বেশি ভাগ ঠিকাদারি কাজ করেন তিনি। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলেও গণপূর্তে এই শামীমই ছিলেন ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি। তিনি এখন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক।
পূর্বকোণ/তাসফিয়া