চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে র‌্যাবের অভিযানে আটক ৫, অস্ত্র-মাদক উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক হ ঢাকা অফিস

২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:৫২ পূর্বাহ্ণ

রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাবে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সদস্য শফিকুল আলম ফিরোজসহ ৫ জনকে আটক করেছে। এছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র, মাদক ও ক্যাসিনোর সরঞ্জামাদি। গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে নয়টা নাগাদ অভিযান শেষে ক্লাব প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এ কথা জানান র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাল। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজকে সঙ্গে নিয়ে এ অভিযান শুরু হয়। কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের চেয়ারম্যান ও কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হচ্ছেন শফিকুল আলম ফিরোজ। গতকাল দুপুর দেড়টার দিকে শফিকুল আলমকে র‌্যাব হেফাজতে নেয়া

হয়। পরে ওই ক্রীড়াচক্রে ক্যাসিনো থাকার গোয়েন্দা খবরের ভিত্তিতে অভিযান শুরু করে র‌্যাব-২।

কর্নেল আশিক বিল্লাল বলেন, রাজধানীতে অবৈধ ক্যাসিনো, জুয়ার আড্ডা ও বারের বিরুদ্ধে যে অভিযান চালানো হচ্ছে, এরই চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কলাবাগান ক্লাবে অভিযানটি চালানো হয়। অভিযানে বেশ কিছু জুয়া খেলার কয়েন, প্লেয়িং কার্ডের ৫৭২টি সেট, আটশো ভিন্ন ধরনের ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি গুলি, একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। ক্যাসিনোর সরঞ্জাম এখানে ছিল না। তবে ক্যাসিনোতে ব্যবহার করা হয় এমন কয়েন পাওয়া গেছে। কর্নেল আশিক বলেন, উদ্ধার হওয়া ইয়াবাগুলো হলুদ রঙের। এগুলো প্রচলিত ইয়াবা থেকে আলাদা ধরনের। এর কোনো গন্ধ নেই। অস্ত্র ও ইয়াবাগুলো ক্লাবটির সভাপতি শফিকুল আলমের অফিস কক্ষ থেকে পাওয়া গেছে। ক্লাব থেকে হারুন, আনোয়ার, হাফিজুল ও লিটন নামে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ক্লাবের স্টাফ। তাদের বিরুদ্ধে ধানম-ি থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনসহ একাধিক মামলা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল, এই ক্লাবের ক্রীড়া সংস্থার আড়ালে বিভিন্ন অবৈধ কর্মকা- পরিচালিত হতো। তাই আমরা দুপুরের পর থেকেই এখানে অবস্থান নেই এবং এর ভিত্তিতেই অভিযান চালানো হয়। এর আগে গতকাল দুপুরে নিকেতন এলাকা থেকে কথিত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমকে আটক করে র‌্যাব। এর আগে গত বুধবার যুবলীগের খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ধানমন্ডি, এজাক্স ও কারওয়ান বাজার মৎসজীবী ক্লাব ঘিরে রেখেছে র‌্যাব : এদিকে, সন্ধ্যার পর থেকে ধানম-ি ক্লাব, এজাক্স ক্লাব, কারওয়ান বাজার মৎসজীবী ক্লাব ঘিরে রেখেছে র‌্যাব সদস্যরা। অবৈধ জুয়া ও মাদকের বিরুদ্ধে চলমান সাঁড়াশি অভিযানের অংশ হিসেবে এসব জায়গায় অভিযান চালানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট