চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

নির্বাচন কমিশনের পিয়নসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:২৫ পূর্বাহ্ণ

রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির চেষ্টা এবং ল্যাপটপ গায়েব করার ঘটনায় গ্রেপ্তার চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের পিয়নসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন জানান, নগরীর ডবলমুরিং থানার নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা বাদি হয়ে গতকাল মঙ্গলবার ভোরে কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন। মামলার আসামিরা হলেন- ডবলমুরিং থানা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়াক বাঁশখালী পৌরসভার দক্ষিণ জলদি গ্রামের আবদুল মোনাফের ছেলে জয়নাল আবেদীন (৩৪),পটিয়া ভাটিখাইনের সাধন দাশের মেয়ে সীমা দাশ ওরফে সুমাইয়া জাহান (৩২), একই এলকার হারাধন দাশের ছেলে বিজয় দাশ (২৮), রাঙামাটি নির্বাচন অফিসের কর্মচারী সত্য সুন্দর দে, ও ঢাকার সাগর। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং নির্বাচন কমিশন আইনে মামলাটি করা হয়েছে বলে জানান ওসি। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে। ইউনিটে কর্মরত উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহীদুল্লাহ বলেন, সিএমপি কমিশনার মামলাটি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী নথিপত্র গ্রহণ করে কাউন্টার টেরোরিজমের পরিদর্শক রাজেশ বড়–য়া মামলাটি তদন্ত করবেন। এদিকে রোহিঙ্গা নারী রমজান বিবি ওরফে লাকীর জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ার ঘটনায় করা মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে।

শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশের কক্সবাজারে থাকা অনেক রোহিঙ্গাকে জাতীয় পরিচয়পত্র করে পাসপোর্টও নেওয়ার ঘটনা প্রকাশের পর তা তদন্তের উদ্যোগ নেয় ইসি। এরপর গত সোমবার রাতে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীনকে আটক করে পুলিশে দেয় নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। পরে তার কাছ থেকে ‘হারিয়ে’ যাওয়া একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। রাতে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, সম্প্রতি কক্সবাজারে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সময় পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যায় যে চট্টগ্রামে কর্মরত জয়নাল আবেদীনের সহায়তায় তারা ভোটার হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি আরও জানান, কক্সবাজারে আটক হওয়াদের তথ্য নিয়ে তাদের একটি দল জয়নালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এসময় জয়নাল তার কাছে একটি ল্যাপটপ থাকার কথা স্বীকার করেন এবং তা তার বন্ধু বিজয়ের কাছে আছে বলে জানান। এরপর বিজয়কে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ডেকে আনা হলে তিনি বলেন, ল্যাপটপটি তার বোন সীমার কাছে আছে। সীমা ল্যাপটপটি নিয়ে রাতে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এলে তাদের তিনজনকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট