মূল বেতন থেকে ২৭১ টাকা করে কেটে নেয়ার অভিযোগে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাই ও পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম।

উভয় মামলায় উপাচার্য ছাড়াও বিবাদি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, হিসাব পরিচালক ও প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে। মামলা দু’টি গত বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দায়ের করা হয়।

আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদিপক্ষের আইনজীবী এএইচএম এরশাদুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য বিমার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ও স্বাস্থ্য বিমায় রাজি না থাকার পরও বেতন থেকে টাকা কেটে নেয়ায় সিলেট সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে পৃথক মামলা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্সের মধ্যে দু’বছরের জন্য স্বাস্থ্য বিমা চুক্তি করা হয়। তবে কে কতটুকু উপকার পাবেন, তা স্বাস্থ্য বিমায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা নেই। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক এ বিমার সঙ্গে একমত হননি। যে কারণে বিমার জন্য আবেদন ফরম পূরণ করতে বলা হলেও তারা পূরণ করেননি। তারপরও তাদের বেতন থেকে কেটে নেয়া হয় ২৭১ টাকা ।

গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাই বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যে স্বাস্থ্য বিমার ব্যবস্থা করা হয়েছে তা করতে আমি আগ্রহী নই। এ বিষয়ে আমি প্রশাসন দপ্তরে একটি চিঠিও দিয়েছিলাম। এরপরও বিমার জন্য আমার বেতন থেকে টাকা কেটে রাখায় মামলা করেছি।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বলেন, “মামলার বিষয়টি সম্পর্কে শুনেছি। আমরা বিষয়টি  দেখবো।”

উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, “স্বাস্থ্য বিমা নিয়ে দেশের আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’বছরের জন্য প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্সের সঙ্গে চুক্তি আছে। আমরা চাইলে দুই বছর পর একই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অথবা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবো। তবে মামলার বিষয়টি সমাধান করা হবে কোর্টের মাধ্যমেই।”

পূর্বকোণ/রাশেদ