চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

সাংবাদিকদের নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম

রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে সতর্ক ইসি ‘

এনআইডি দেওয়ার সঙ্গে ইসি’র কেউ জড়িত প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা’

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:১৪ পূর্বাহ্ণ

নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের ভোটার করা বা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেওয়ার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত আছে বলে মনে করি না। তবে সুর্নিদিষ্ট তথ্য-প্রমাণসহ অভিযোগ পেলে কমিশন আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।

গতকাল সোমবার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র না পায়, সেজন্য কমিশন সতর্ক আছে। সম্প্রতি বাংলাদেশে প্রবেশ করা ১১ লাখ রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে। সেই বায়োমেট্রিক আমাদের কাছে রয়েছে। আমরা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে এনআইডি দেওয়ার আগে যখন বায়োমেট্রিক নেব, তখন রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক তথ্যের সঙ্গে তা যাচাই করব। রোহিঙ্গা কাউকে পাওয়া গেলে তাদের আলাদা করে ফেলব। এভাবেই আমাদের সিস্টেমটা তৈরি করেছি। রোহিঙ্গারা যাতে কোনোভাবেই ভোটার তালিকায় আসতে না পারে বা তারা যাতে এনআইডি না পায় সেজন্য আমরা সতর্ক আছি।

কবিতা খানম বলেন, আমরা মনে করি না নির্বাচন কমিশনের কোনো কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারী রোহিঙ্গাদের ভোটার করছে বা জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে সহযোগিতা করছে। তারপরও আমরা তদন্ত করছি। তারপরও কারো বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাসপোর্ট করতে গিয়ে যারা ধরা পড়ছে বা যারা ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র বের করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে একজন রোহিঙ্গার কাছে কার্ড (স্মার্টকার্ড) পাওয়া গিয়েছিল। ওটা ছিল ২০১৫ সালের কার্ড। এরপর ৪৬ জন রোহিঙ্গার তথ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা উদ্ধার করেছি। অবশ্য তারা কার্ড পায়নি। তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, জন্ম নিবন্ধনসহ সব ডকুমেন্ট তৈরি করে আমাদের কাছে নিয়ে আসা হচ্ছে। এখন থেকে আমরা সেগুলো ভেরিফাই করব। কিন্তু যারা সেগুলো দিচ্ছে বা যাদের মাধ্যমে পাচ্ছে এবং যারা রোহিঙ্গাদের আত্মীয় পরিচয় দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। রোহিঙ্গারা যাতে কোন ডকুমেন্টস না পায়। কারণ এসব ডকুমেন্টসের মাধ্যমেই কিন্তু তারা ভোটার তালিকায় আসছে বা এনআইডি পাচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের ভোটার করা ও এনআইডি দেওয়া নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তের বিষয়ে কবিতা খানম বলেন, দুদকের বিষয়টা আসলে এখনও আমাদের নোটিশে নেই। আমি শুনেছি যে, গত রবিবার একটা টিম তদন্ত করতে এসেছিল। দুদকের মাধ্যমে কোনো কিছু প্রমাণ হলে নির্বাচন কমিশন সেটাও নিজস্বভাবে তদন্ত করে দেখবে। দুদকের এক তদন্তের বিষয়ে তিনি বলেন, কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ বা তথ্য-প্রমাণ আছে বলে আমার জানা নেই।
এসময় চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান, চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুনীর হোসাইন খানসহ কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, ২১ উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট