চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

দেশে নির্বাচনী স্বৈরতন্ত্র চলছে : মির্জা ফখরুল

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:০৬ পূর্বাহ্ণ

দেশে নির্বাচনী স্বৈরতন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, অনেক ধরনের গণতন্ত্রের মধ্যে রয়েছে নির্বাচনি গণতন্ত্র, নির্বাচনি স্বৈরতন্ত্র ও রুদ্ধদ্বার গণতন্ত্র। বাংলাদেশে এখন নির্বাচনি স্বৈরতন্ত্র চলছে। গতকাল রবিবার বিকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি।-ফোকাস বাংলা

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, দেশে নির্বাচন একটা হচ্ছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্বাচন

করে ক্ষমতা দখলে নিয়ে নিজেদের মতো করে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করছে। তিনি বলেন,যে মৃক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছিল,তার মূলমন্ত্র ছিল গণতন্ত্র। আজ স্বাধীনতার ৪৮ বছরে এসে মানুষ শূন্যতা অনুভব করছে, কোথায় সেই গণতন্ত্র! তাহলে এ স্বাধীনতার মূল্যটা কী, এ প্রশ্নের জবাব কে দেবে?

মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের গোপন ভোটের মাধ্যমে গণপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা করা। সেই সুযোগ কি দেশের মানুষ পাচ্ছে, প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিএনপির মহাসচিব দাবি করেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে সরকারের সব স্তর দুর্নীতিগ্রস্ত। প্রমাণ হয়ে গেছে তারা দুর্নীতি করছে এবং সবাই মিলে করছে। ছাত্রলীগ থেকে শেখ হাসিনা কাউকে অব্যাহতি দিতে পারেন কিনা জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংগঠনের অবিভাবক হচ্ছেন শেখ হাসিনা। ফলে তিনি তাদের বহিষ্কার করতেই পারেন।

ছাত্রদলের কাউন্সিল স্থগিতের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আইন দিয়ে রাজনীতি হয় না। রাজনীতিকে আদালত দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার প্রচেষ্টা নজিরবিহীন ঘটনা। রাজনীতিকে আদালত দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা হচ্ছে এবং সেটা আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচেষ্টায় হচ্ছে। আসলে তারা (আওয়ামী লীগ) বহুদলীয় গণতন্ত্র ও বিরোধী দলে বিশ্বাস করে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশ কি একটা আইন দিয়ে চলছে? দুই ধরনের আইনে দেশ চলছে। সরকার দলের জন্য একধরনের আইন, আর বিরোধী দলের জন্য আরেক আইন। ১/১১ সরকারের সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নামে ২১টি মামলা ছিল। ক্ষমতায় এসে সেগুলো বিভিন্নভাবে বাতিল হয়ে গেলো, আর সেই সময়ের মামলায় এখন আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে।

মোশাররফ আরও বলেন, আজকে ছাত্রদলের বিষয়ে বিএনপি হস্তক্ষেপ করতে পারবে না, নিম্ন আদালত আদেশ দিচ্ছেন, অন্যদিকে ছাত্রলীগের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে এর জবাব কে দেবে? এক দেশে দুই ধরনের আইন কেন? সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট