চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ছাত্রদলের কাউন্সিল আপাতত অনিশ্চিৎ

বিএনপির দিকে তাকিয়ে নেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক হ ঢাকা অফিস

১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:২৮ পূর্বাহ্ণ

কাউন্সিল হওয়ার মাত্র একদিন আগে হঠাৎ করেই আদালতের স্থগিতাদেশ পেয়ে ছাত্রদলের কাউন্সিল অনিশ্চিত হয়ে পড়লো। দলের সর্বস্তরের নেতা কর্মীরা অপেক্ষা করছিলেন ২৭ বছর পর ভোটের মাধ্যমে দলের নতুন কমিটি গঠিত হবে। গত বৃহস্পতিবার কাউন্সিলের উপর আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার পর এখন ছাত্রদলের নেতাদের নজর বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের দিকে। যদিও ছাত্রদলের কাউন্সিল ঘিরে বিএনপির ‘হস্তক্ষেপ’কে দায়ী করেই আদালতে স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন সংগঠনটির সাবেক এক নেতা। অবশ্য, গতকাল এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহা সচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ছাত্রদলের কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত নিবে ছাত্রদলই। বিএনপি এতে কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না। প্রয়োজনে সহযোগিতা করবে। আজ ১৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় ছাত্রদলের এই কাউন্সিলে সভাপতি পদে ৯ ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৯ জন প্রার্থী হয়েছিলেন। প্রত্যেকেই নিজের মতো করে প্রচার প্রচারণা চালিয়েছেন। কিন্তু হঠাৎই আদালতের আদেশে প্রার্থীরা চিন্তিত। দলের মতো তারাও মনে করছেন এখানে সরকারের ইন্ধন রয়েছে। ছাত্রদলের আগের কমিটিতে ধর্মবিষয়ক সহসম্পাদক পদে ছিলেন আমান উল্লাহ। গত বৃহস্পতিবার ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ঢাকার চতুর্থ সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন তিনি। শুনানি নিয়ে আদালত ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিলের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। একই সঙ্গে ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিল করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। এ বিষয়ে জবাব দেওয়ার জন্য ৭ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন আদালত। বিএনপির মহাসচিবসহ ১০ জন বিএনপি নেতাকে জবাব দিতে বলা হয়। মামলার আরজি সম্পর্কে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেন, আমান উল্লাহ নামের এক ব্যক্তি মামলাটি করেছেন, যিনি ছাত্রদলের কাউন্সিলে সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তিনি বাদ পড়ায়

মামলার বিবরণীতে ‘অন্যায়ভাবে অধিকার ক্ষণœ’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।”

মূলত, মামলার খবর জেনে ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান নেতারা এবং কাউন্সিলে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপি নেতারা আমান উল্লাহকে খুঁজতে শুরু করেন। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হলের শিক্ষার্থী আমান উল্লাহকে গতকাল শুক্রবার রাত পর্যন্ত খুঁজে পায়নি বিএনপি।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকে আমান উল্লাহ’র মোবাইল নম্বরে কল করছি। কিন্তু ওর ফোনটা বন্ধ। ওর ফেসবুক একাউন্টও ইনএক্টিভ।’
এদিকে মামলার আরজিতে ‘ছাত্রদলের কাউন্সিলে সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন’ বলে উল্লেখ করলেও কাউন্সিলের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিএনপি ও ছাত্রদল নেতারা বলছেন, আমান উল্লাহ কোনো পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য আবেদন করেননি। কাউন্সিল পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেন, ‘আমান উল্লাহ ছাত্রদলের কাউন্সিলে কোনো পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য আবেদন করেনি। সুতরাং ওর আবেদন বাতিল করার প্রশ্নই আসে না। ও এমনটা কেন করল, সেটা জানার জন্য আমরা ওকে খুঁজছি। কিন্তু কোনও হদিস পাচ্ছি না।’

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট