চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

কাস্টমস ভ্যাটে ইউনিফর্ম পরিধান বাধ্যতামূলক করেছে এনবিআর

অনলাইন ডেস্ক

১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১০:২৪ অপরাহ্ণ

কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সিপাহি থেকে কমিশনার পর্যন্ত নির্ধারিত পোশাক বা ইউনিফর্ম পরিধান করা বাধ্যতামূলক করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ কাস্টমসে এই ইউনিফর্ম পেশাদারত্ব যোগ করবে বলে মনে করছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা।কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগে কর্মরতদের ‘সার্ভিস ইউনিফর্মের’ আওতায় আনতে সম্প্রতি বিধিমালা করে তা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করেছে এনবিআর। ‘বাংলাদেশ কাস্টমস ও ভ্যাট পোশাক বিধিমালা, ২০১৯’ নামে জারি করা বিধিমালায় বলা হয়েছে, এনবিআরের অধীন কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগে কর্মরত সেপাহি, সাব-ইন্সপেক্টর, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার, ডেপুটি কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার, অতিরিক্ত কমিশনার ও কমিশনার এবং সমপদমর্যাদার অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ক্ষেত্রে এই বিধিমালা প্রযোজ্য হবে।

ইউনিফর্মের বিভিন্ন পরিচয় সম্পর্কে এতে বলা হয়েছে, কমিশনার ও মহাপরিচালকের ক্ষেত্রে একটি সোনালি দ্বার এবং মধ্যবর্তী ফাঁকা অংশে তিনটি গৌরব তারকা থাকবে। অতিরিক্ত কমিশনার ও অতিরিক্ত মহাপরিচালকের ক্ষেত্রে একটি সোনালি দ্বার ও মধ্যবর্তী ফাঁকা অংশে দুটি গৌরব তারকা, যুগ্ম কমিশনার ও যুগ্ম পরিচালকের ক্ষেত্রে একটি সোনালি দ্বার ও মধ্যবর্তী ফাঁকা অংশে একটি গৌরব তারকা এবং উপকমিশনার ও উপপরিচালকের ক্ষেত্রে একটি সোনালি দ্বার থাকবে। সহকারী কমিশনার, সহকারী পরিচালকের ক্ষেত্রে তিনটি গৌরব তারকা, রাজস্ব কর্মকর্তার ক্ষেত্রে দুটি গৌরব তারকা এবং সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তার ক্ষেত্রে একটি গৌরব তারকা থাকবে। এদের প্রত্যেকের ক্যাপের ব্যাজ হবে সাদা গোলাকার কাপড়ের জমিনের ওপর সুতার এমব্রয়ডাবি করা জলপাইপত্র সংবলিত দুটি শাখা দ্বারা বেষ্টিত বাংলাদেশ কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের দেড় ইঞ্চি ব্যাসের লোগো। সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাহিরা মাথায় গাঢ় জলপাই রঙের বেরেট ক্যাপ পরবেন, যার সামনে পৌনে দুই ইঞ্চি ব্যাসের দশমিক ১২৫ ইঞ্চি পুরুত্বসম্পন্ন পিতলের চাকতির ওপর কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের লোগো থাকবে।

কর্মকর্তাদের ইউনিফর্মে গর্জেট প্যাঁচ থাকবে, যা হবে সমুদ্র নীল ভিত্তির ওপর রুপালি জরির সুতা দ্বারা এমব্রয়ডারি করা। কমিশনার ও মহাপরিচালকের ক্ষেত্রে গর্জেট প্যাঁচে জলপাইপত্র সংবলিত বিপরীতমুখী লম্বালম্বি চারটি শাখা এবং অতিরিক্ত কমিশনার ও অতিরিক্ত মহাপরিচালকের ক্ষেত্রে জলপাইপত্র সংবলিত একটি শাখা থাকবে।

পূর্বকোণ/আল-আমিন

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট