চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

ভূমি নিবন্ধনে সমস্যা থাকলেও টিআইবির সব কথা ঠিক নয় : ভূমিমন্ত্রী

১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:০২ পূর্বাহ্ণ

ভূমির দলিল নিবন্ধনে দুর্নীতির কথা স্বীকার করলেও দুর্নীতি পর্যবেক্ষক সংস্থা টিআইবির প্রতিবেদনে উল্লেখিত সব বিষয়ে একমত নন বলে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভূমিখাতে অনেক পরিবর্তন আনা য়েছে। টিআইবির প্রতিবেদন ‘ওভাবে পুরোটা সমর্থন করতে পারছি না।’ দুদিন আগে টিআইবি ‘ভূমি দলিল নিবন্ধন সেবায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলছে, ভূমি নিবন্ধন সেবায় অনিয়ম-দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ধারণ করছে। বুধবার সচিবালয়ে এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ভূমিমন্ত্রী বলেন, টিআইবির রিপোর্টটা আমার নজরে এসেছে। তাদের রিপোর্টটাকে পুরোটা ওভাবে সমর্থন করতে পারছি না।- বিডিনিউজ

ভূমি অফিসের জটিলতা ও সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু উন্নতি হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, টিআইবি যে রিপোর্টটা প্রকাশ করেছে, সেটা কখনকার বেইজ ধরে করেছে, সেটা কিন্তু তারা উল্লেখ করেনি। মন্ত্রী বলেন, টিআইবি ভূমি নিবন্ধনের যে বিষয়টি উল্লেখ করেছে সেখানেই সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু ভূমি নিবন্ধন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে না, আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে। রেজিস্ট্রেশন বিভাগটা যেহেতু আমার মন্ত্রণালয়ের আন্ডারে নয় তাই আমার এখানে হাত নাই।
একসময় আইন ও ভূমি বিষয়ে একটাই মন্ত্রণালয় ছিল। তার অধীনে ছিল ভূমি নিবন্ধন কার্যালয়। পরে দুটি মন্ত্রণালয় আলাদা হলেও ভূমি নিবন্ধন কার্যালয় আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনেই থেকে যায়। সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের কথা তুলে ধরে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিতে সম্পতি ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সুপারিশ করেছে।
টিআইবির কথা একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছি না মন্তব্য করে ভূমিমন্ত্রী বলেন, তবে তারা যেসব সমস্যা তুলে ধরেছেন, তার অনেকগুলো কিন্তু আমরা উন্নয়ন করেছি। এ উন্নয়নটা আমাদের অব্যহত রয়েছে।

তিনি বলেন, অনলাইন ডাটাবেজে সাড়ে পৌনে ৪ কোটি খতিয়ান আপলোড করা হয়েছে। মানুষকে আগে অনেক হয়রানি পোহাতে হতো। এখন আর হয়রানি পোহাতে হয় না।

এক প্রশ্নের জবাবে সাইফুজ্জামান বলেন, এ পর্যন্ত ৫০ জনেরও বেশি ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট