চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

উইলস লিটল ফ্লাওয়ারের ছাত্রী রিশা হত্যার রায় ৬ অক্টোবর

অনলাইন ডেস্ক

১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১০:১৮ অপরাহ্ণ

আগামী ৬ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা হত্যার রায়। বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস এই তারিখ ধার্য করেন। বুধবার মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ধার্য ছিল। আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট রিশা ও তার বন্ধু মুনতারিফ রহমান রাফি পরীক্ষা শেষে কাকরাইল ফুট ওভারব্রিজ পার হওয়ার সময় ওবায়দুল রিশাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। রিশা ওই প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে ওবায়দুল তাকে ছুরিকাঘাত করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় রিশাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারদিন পর ২৮ আগস্ট রিশা মারা যায়। ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ২৪ আগস্টই রিশার মা তানিয়া হোসেন বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করেন। পরে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঘটনার পাঁচ-ছয় মাস আগে রিশা ও তার মা তানিয়া ইস্টার্ন মল্লিকা মার্কেটে এক টেইলার্সে কাপড় সেলাই করাতে যান। এ সময় তার মা ওই দোকানের রসিদে ফোন নম্বর দিয়ে আসেন। ওই টেইলার্সের কর্মচারী ওবায়দুল রশিদের কপি থেকে ফোন নম্বর নিয়ে রিশাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। মাঝে মাঝেই রিশাকে ওবায়দুল বিরক্ত করতেন। রিশার মা এ বিষয়ে ওবায়দুলকে সতর্ক করেন। কিন্তু কোনো কথা না শুনেই রিশাকে বিরক্ত করতে থাকেন ওবায়দুল। পরে ওবায়দুল রিশাকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেন।

২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর ওবায়দুলকে একমাত্র আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আল হোসেন। ২০১৭ সালের ১৭ এপ্রিল ওবায়দুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। বিচার চলাকালে ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়।

এ মামলায় রিশার পরিবারকে আইনি সহায়তা দেয় বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি। সমিতির সদস্য ফাহমিদা আক্তার রিংকি বলেন, “এক বছরের মধ্যেই এ মামলার বিচার কাজ শেষ হবে বলে আমরা আশা করেছিলাম। কিন্তু তিনজন সাক্ষীর বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ার কথা বলে আসামিপক্ষ তাদের সাক্ষ্য শিশু আদালতে নেওয়ার দাবি জানায়।

“তারা এ জন্য হাই কোর্টও গিয়েছিলেন। কিন্তু মামলার আসামি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় (২২ বছর) তার বিচার জজ আদালতেই চলতে পারে বলে হাই কোর্ট আদেশ দেয়। এ কারণে মামলার বিচার শেষ করতে দেরি হয়েছে।”

রিশার বাবা রমজান হোসেন বলেন, “আমরা আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। শাস্তি না পেলে এ রকমের অপরাধ আরও ঘটবে। মেয়ে হত্যার বিচার পাব- এ আশায় তিন বছর ধরে আমরা আদালতের বারান্দায় ঘুরছি। আমাদের একটাই দাবি, ওবায়দুলের ফাঁসি চাই।”

পূর্বকোণ/ এস

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট