প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশেই ডেঙ্গু রোগ শনাক্তকরণে ব্যবহৃত কিট তৈরি হচ্ছে। প্রতিদিন ৩৫ হাজার ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কিট সরবরাহ করা সম্ভব হবে। থাকবে না কোনো ঘাটতি। আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গত ৩ আগস্ট পর্যন্ত আমরা ১ লাখ ৫৭ হাজার এসএস-ওয়ান কম্ব কিটসহ মোট ৩ লাখ ৬৮ হাজার ২০০ ডেঙ্গু রোগ শনাক্তকরণ কিট আমদানি করেছি। কিন্তু গত ৬ আগস্ট থেকে বিদেশ থেকে কাঁচামাল এনে দেশেই এ কিট তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এতে প্রতিদিন ৩৫ হাজার কিট সরবরাহ করা সম্ভব হবে। ডেঙ্গু রোগ শনাক্তকরণ কিট ঘাটতির কোনো সম্ভাবনা নেই।

তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে বিশ্বের উষ্ণমণ্ডলীয় ১২৭টি দেশে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ ও প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশেও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এবছর।

‘ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গাইড লাইন রয়েছে। এই গাইড লাইনের ভিত্তিতে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের। তারা স্থানীয় চিকিৎসক এবং নার্সদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ঢাকার ২৩টি সরকারি, ৪১টি বেসরকারি হাসপাতাল ও দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই হাজার চিকিৎসক ও নার্সকে  দেয়া হয়েছে প্রশিক্ষণ এবং এখনও চলমান প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।’

শেখ হাসিনা বলেন, খোলা হয়েছে স্বতন্ত্র ডেঙ্গু কর্ণার ঢাকা শহরে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে। নিশ্চিত করা হয়েছে ডেঙ্গু রোগীর ভর্তি। সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে এবং বেসরকারি হাসপাতালে নির্ধারিত মূল্যে ডেঙ্গুর পরীক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠান এ নিয়ম না মানলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়। আমরা ডেঙ্গুর পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কিটের সরবরাহ নিশ্চিত করেছি।

একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ডেঙ্গু প্রতিরোধে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধ, শনাক্তকরণ এবং ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসার জন্য আওয়ামী লীগ ৬৪ জেলায় মনিটরিং টিম গঠন করেছে।

‘এ মনিটরিং টিম জেলা পর্যায়ে জনসতেনতা সৃষ্টি, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে উৎসাহিত করা, সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়া সর্বাত্মক সহায়তা দেয়া যেমন প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী নিশ্চিতকল্পে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।’

পূর্বকোণ/রাশেদ