চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য নীতিমালা অনুমোদন

১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:০৬ পূর্বাহ্ণ

এসএমইখাতের উদ্যোক্তাদের ঋণ এবং অন্যান্য সুবিধা সহজে একটি নীতিমালার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘এসএমই নীতিমালা ২০১৯’ এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, জাতীয় শিল্পনীতির আলোকে এই নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। এই খাতে প্রায় ৭৮ লাখ অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে। জিডিপিতে এই খাতের অবদান হলো প্রায় ২৫ শতাংশ।

তিনি বলেন, এসএমই’র বাইরে মাইক্রো এবং কুটিরশিল্পও যুক্ত করা হয়েছে। মাইক্রো, কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মিলে এসএমই। মোটামুটি সারা পৃথিবীতেই এভাবেই এসএমই গণ্য করা হয়।
ছয়টি উদ্দেশ্য সামনে রেখে নীতিমালা করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এসএমই উদ্যোক্তাদের অর্থপ্রাপ্তির সুযোগ, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সুযোগ, বাজারে প্রবেশের সুযোগ, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ, ব্যবসায় সহযোগিতা এবং তথ্যের সুযোগ প্রাপ্তি।-বাংলানিউজ

নীতিমালায় বাস্তবায়ন কৌশলে বলা হয়েছে, কৌশলগত অর্থায়ন সুবিধা প্রাপ্তিতে এসএমইখাতের সুযোগ বৃদ্ধি করা, এসএমইখাতের ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধি করা, অর্থায়নের ব্যবস্থা করা, এসএমই ক্রেডিট গ্যারান্টি ফান্ড চালু করা। এই ফান্ড চালু হলে মটগেজ থাকবে না, অর্থপ্রাপ্তি সহজ হবে। সহজ শর্ত ও স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

এছাড়াও নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (স্টার্টআপ) করার ক্ষেত্রে সহায়তা করা, অনলাইন বা ডিজিটাল ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে স্টার্টআপ প্রক্রিয়া সহজ করার কথা বলা রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে নীতিমালায় ই-কমার্স, অনলাইন সাপোর্ট, আউট সোর্সিং ও আইটিভিত্তিক এপ্লিকেশনের মাধ্যমে এসএমই’দের সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়ার কথা বলা আছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তাদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, ঋণ দেওয়া, তহবিল গঠন, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, উদ্বুব্ধকরণ এবং বাজার সংযোগে সুযোগ বৃদ্ধি করা। টেকসইয়ের জন্য ফরোয়ার্ড ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে নীতিমালায়।
এসএমই তথ্যভান্ডার তৈরি, পরিবেশবান্ধব শিল্প প্রতিষ্ঠায় এসএমই’দের উৎসাহিতকরণ, শিল্প বর্জ ব্যবস্থাপনায় এসএমই’দের প্রণোদনা দেওয়া, পরিবেশবান্ধব শিল্পপ্রযুক্তির উন্নয়ন এবং ব্যবহার বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট