পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে মো. আব্দুল কুদ্দুস খান (৬৪) নামে আরও এক বাংলাদেশির মৃত্যুর হয়েছে। এ নিয়ে এবারের মৌসুমে তিন নারীসহ ২২ বাংলাদেশি মারা গেছেন। পবিত্র মক্কায় মারা যান ১৯ জন এবং মদিনায় তিনজন।
১৭ জুন মারা যান আব্দুল কুদ্দুস খান। তার বাড়ি যশোরের বাঘের পাড়ায়।
রবিবার (১৮ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ম্যানেজমেন্ট পোর্টাল পিলগ্রিমের ডেথ নিউজে এসব তথ্য জানা গেছে।
পিলগ্রিম সূত্রে জানা যায়, এর আগে ৩১ মে মারা যান মো. আব্দুল ওয়াহেদ (৪৬), গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে; ২ জুন শাহানারা বেগম (৬৪) ও ড. মো. শফিকুল ইসলাম (৫৮), তাদের বাড়ি যথাক্রমে ঢাকার বাটামারা ও পাবনার সদরে; ৩ জুন মো. আলী হোসেন (৬৭), তার বাড়ি শেরপুরের ঝিনাইগাতিতে; ৪ জুন মো. আয়ুব খান (৪৮), তার বাড়ি ঢাকার খিলগাওয়ে; ৬ জুন মো. শহিদুল আলম (৬৭), তার বাড়ি পঞ্চগড়ের রাধানগরে; ৭ জুন রোকেয়া বেগম (৬২), তার বাড়ি বগুড়ার সান্তাহারে; ৮ জুন মো. আদম উদ্দিন মণ্ডল (৭১) ও মো. আমজাদ হোসেন প্রধান (৫৭), তাদের বাড়ি যথাক্রমে নওগাঁর আত্রাই ও গাইবান্ধার বোনারপাড়া; ৯ জুন মারা যান মো. মতিউর রহমান (৬৮), তার বাড়ি রংপুরের সদরে; ১০ জুন নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির আব্দুল মান্নান (৫৯); ১৩ জুন সাতক্ষীরার বাঁশদহার মাখতুরা খাতুন (৬১); ১২ জুন কুমিল্লার বরুড়ার মোহাম্মদ আবুল হাশেম (৬১); ১১ জুন রংপুরের বদরগঞ্জের মো. শহিদুল্লাহ মন্ডল (৭৬); ৭ জুন কুমিল্লার দেবীদ্বারের মো. আবুল হোসেন ভূইয়া (৭১); ১০ জুন চাঁদপুরের হাজিগঞ্জের মো. আব্দুল মতিন (৬০); ১২ জুন মাগুরার মোহাম্মদপুরের সৈয়দ নাইমুল হক (৬২), ১৪ জুন রাজশাহীর বুলুনপুরের মো. শাজাহান আলী (৬৬), কুমিল্লার বরুড়ার মো. আবুল কাশেম (৪৬) ও কক্সবাজারের বদরখালীর মো. রিদওয়ান (৬৪) এবং ১৫ জুন মারা যান নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের আব্দুল গফুর (৬১)।
সৌদি আরেবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে যদি মৃত্যুবরণ করেন তাহলে তার মরদেহ সৌদি আরবে দাফন করা হয়। মৃতদেহ তার নিজ দেশে নিতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তি গ্রাহ্য করা হয় না।
গত ২১ মে থেকে হজযাত্রীদের ফ্লাইট শুরু হয়। সৌদি আরবে যাওয়ার শেষ ফ্লাইট ২২ জুন। হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২ জুলাই এবং শেষ হবে ২ আগস্ট। আগামী ২৭ জুন চাঁদ দেখা সাপেক্ষে হজ অনুষ্ঠিত হবে।
পূর্বকোণ/এসি