চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

২০ মে থেকে ২৩ জুলাই সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ

অনলাইন ডেস্ক

১১ মে, ২০২৩ | ৪:৫৫ অপরাহ্ণ

দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্য সম্পদ রক্ষায় প্রজনন মৌসুমে আগামী ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন যেকোনো প্রজাতির মাছ শিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (১১ মে) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 

গতবছর ২৪ এপ্রিল সামুদ্রিক মৎস্য আইনের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। উপকূলীয় বিভাগ চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনার ১৪টি জেলার ৬৭টি উপজেলা ও চট্টগ্রাম মহানগরে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধের এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

 

নিষিদ্ধকাল বাস্তবায়নের সময় ৩ লাখ ১১ হাজার ৬২ জন সমুদ্রগামী জেলের জন্য ১ম ধাপে ১৭ হাজার ৪১৯ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল এরইমধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ সময় ভিজিএফর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকার উপকরণ সহায়তা দেবে।

 

এদিকে, সকালে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব ধরনের মৎস্য নৌযান দিয়ে যেকোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

সভায় বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় নিষিদ্ধকালে মৎস্য আহরণ বন্ধে মনিটরিং জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

 

এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সমুদ্রগামী সব ধরনের মৎস্য নৌযান ট্র্যাকিংয়ের আওতায় আনা হচ্ছে। নিষিদ্ধকালে আমাদের সমুদ্রসীমায় কোনোভাবেই যেন বিদেশি নৌযান প্রবেশ করে মাছ ধরতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রায় সমপরিমাণ জলসীমা অর্জিত হয়েছে। এ জলসীমায় পূর্বের চেয়ে গতবছর নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, র‌্যাবসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকাল বাস্তবায়নে অনেক সাফল্য দেখিয়েছে। এ সাফল্য এবারও ধরে রাখতে হবে। তবে কখনো কখনো দুর্বৃত্তরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে, এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট