চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পুরুষের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা

অনলাইন ডেস্ক

২৪ আগস্ট, ২০১৯ | ৭:৩০ অপরাহ্ণ

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় অন্য পুরুষের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার অভিযোগে স্ত্রী তৃষা খাতুনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে উপজেলার সদর ইউপির চরভাঙ্গুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী আক্তার হোসেন পলাতক রয়েছে।

পরিবারের সূত্রে জানাগেছে, দেড় বছর আগে পারভাঙ্গুড়া গ্রামের কোরবান আলীর মেয়ে তৃষার সঙ্গে চরভাঙ্গুড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আক্তার হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের এক মাস পর আক্তার মালয়েশিয়া চলে যায়। এরপর থেকে তৃষা স্বামীর বাড়িতেই থাকত।

আক্তার মালয়েশিয়া থেকে বাড়িতে ফেরার পরই পরিবারের সদস্যরা আক্তারের কাছে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মোবাইল ফোনে অন্য পুরুষের সঙ্গে কথা বলার অভিযোগ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আক্তার একাধিকবার তার স্ত্রীকে মারধর করে। একপর্যায়ে তৃষাকে পেটাতে পেটাতে মেরে ফেলে আক্তার। পরে নিরুপায় হয়ে তৃষার মুখে বিষ ঢেলে পালিয়ে যায় আক্তার। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া হাসপাতালে নিয়ে যায় আক্তারের পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতালে পৌঁছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে আক্তারের বাবা শহীদুল ইসলাম জানান, তার পুত্রবধূর আচরণ সন্দেহজনক ছিল। এ নিয়ে শনিবার দুপুরে তার ছেলে তৃষাকে মারধর করে। তবে তৃষা মারধরে মারা গেছে নাকি বিষ খেয়ে মারা গেছে তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে রাজি হননি।

নিহত তৃষার বাবা কোরবান আলী বলেন, বিয়ের পর থেকেই আক্তার তার মেয়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করত। শুক্রবার বিদেশ থেকে এসে আবার সেই একই আচরণ শুরু করে। একপর্যায়ে পিটিয়ে আমার মেয়েকে মেরে ফেলে আক্তার। এখন মুখে বিষ দিয়ে তারা বলছে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।

ভাঙ্গুড়া থানার এসআই হাসানুর রহমান বলেন, নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে মুখে বিষের গন্ধ পাওয়া গেছে। নিহতের পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

পূর্বকোণ/আল-আমিন

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট