চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা জড়াচ্ছেন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে

অনলাইন ডেস্ক

২৪ আগস্ট, ২০১৯ | ৬:২৯ অপরাহ্ণ

 

ইন্টারনেটজুড়ে পর্নো ছবি, পাশ্চাত্যের অপসংস্কৃতির অন্ধ অনুকরণ ও শিক্ষাঙ্গনে মাদকের ছড়াছড়ি এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এ কারণে খুলনা বিভাগে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়াচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গেল দুই সপ্তাহে এ ধরনের কয়েকটি ঘটনায় থানায় মামলা হলে অভিভাবকরা হয়ে পড়েন উদ্বিগ্ন।

জানা যায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১৭ আগস্ট ধর্ষণের অভিযোগে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করেন খুলনা নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রী (২০)। এজাহারে ওই ছাত্রী নিজেকে অন্তঃসত্ত্বা দাবি করলে পুলিশ একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভিযুক্ত শিঞ্জন রায়কে গ্রেফতার করে। পৃথক ঘটনায় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে কোস্টগার্ডে কর্মরত তানজিল ইসলামের বিরুদ্ধে খুলনা থানায় মামলা করেন। ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় ও বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা ওই ছাত্রী তার সন্তানের পিতৃত্বের পরিচয় দাবিতে মামলা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পাপ্পু কুমার চারুকলা ইনস্টিটিউটের লাইব্রেরিতে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাপ্পু কুমারকে বহিষ্কার করে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির জানান, মাদক নির্মূল ও অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে আবাসিক হোটেল ও সন্দেহজনক স্থানগুলোতে অভিযান চলমান রয়েছে। তবে সামাজিক অবক্ষয় ও নৈতিকতা এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। শুধু পুলিশ নয়, এ অপরাধ দমনে সক্রিয় হতে হবে পিতা-মাতা ও অভিভাবকদেরও।

অপরাধ বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের অপরাধের বড় কারণ ‘সংস্কৃতির ভারসাম্যহীনতা’। সামাজিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা, পারিবারিকভাবে সন্তানদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা ও বিদেশি অপসংস্কৃতি চর্চা বন্ধের মাধ্যমে এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

পূর্বকোণ/রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট