১১ মার্চ, ২০২৩ | ৯:০২ অপরাহ্ণ
অনলাইন ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,‘গত ডিসেম্বরে আমরা মেট্রোরেল যুগে প্রবেশ করেছি। এসব সাফল্যের ওপর দাঁড়িয়ে এখন ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরিত হতে চাই। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’
শনিবার (১১ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আমাদের রূপকল্প ২০৪১ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রনয়ণ করে তা বাস্তবায়ন শুরু করেছি। এই রূপকল্প অর্জনের জন্য আমরা যে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১ থেকে ২০৪১ এবং অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ২০২১ থেকে ২০২৫ প্রনয়ণ করেছি, সেখানে বেসরকারি এবং বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, উৎপাদন দক্ষতা বৃদ্ধি, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি তরান্বিত করণ এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতা সম্পন্ন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে একটি কৌশলগত পথরেখা প্রনয়ণ করা হয়েছে।’
২০১৫ সালেই আমরা মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা লাভ করেছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে যখন আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ২০২০ সাল উদযাপন করি এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করি। সেই সময় আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জনে সক্ষম হয়েছি।’
‘আমরা আশা করি ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করে ২০৩৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যাপকহারে টেকসই অবকাঠামো নির্মাণ করেছি, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করেছি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, এলিভেডেট এক্সপ্রেস ওয়ে, নদীর তলদেশে ট্যানেল, গণপরিবহন ব্যবস্থার সম্প্রসারণ, আমাদের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় গত জুনে যুক্ত হয়েছে পদ্মা বহুমুখী সেতু। আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে এই পদ্মা বহুমুখী সেতু আমরা নির্মাণ করেছি। আমরা যে পারি, সেটা প্রমাণ করেছি।’
‘এই সেতু শুধু বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলই নয়, এই সেতু আমাদের আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বাড়াবে এবং ন্যূনতম ১ দশমিক ২৩ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।’
ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘রূপকল্প ২০৪১, ‘আমার সরকার এফডিআইসহ বেসরকারি বিনিয়োগকে উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রধান খাত হিসেবে গ্রহণ করেছে। আমরা ২০৩১ সালের মধ্যে জিডিপিতে বেসরকারি বিনিয়োগের অনুপাত ৩১ দশমিক ৪৩ শতাংশে উন্নীত করতে চাই।’
‘২০২৫ সালের মধ্যে শুধু লজিস্টিকস খাতেই ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজারে পরিণত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বাংলাদেশ প্রায় ১৭ কোটি জনগোষ্ঠীর দেশ। আমাদের নিজস্ব অর্থনৈতিক বাজার সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা ২০৩০ সালের মধ্যে নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে পরিণত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। যুক্তরাষ্ট্র বা জার্মানির মতো প্রতিষ্ঠিত বাজারগুলোকে এবং বর্তমান উচ্চ প্রবৃদ্ধির ভিয়েতনাম বা থাইল্যান্ডকে ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করি’ বলেন শেখ হাসিনা।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ