চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

ফেব্রুয়ারি মাসে সড়কে প্রাণ গেল ৪৮৭ জনের

নিজস্ব প্রতিবেদক

৮ মার্চ, ২০২৩ | ১১:৪৯ অপরাহ্ণ

দেশে গেল ফেব্রুয়ারি মাসে ৪৩৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৪৮৭ জন। আহত হয়েছেন ৭১২ জন। নিহতদের মধ্যে ৫৪ জন নারী ও ৬৮ জন শিশু।

 

এসব দুর্ঘটনার মধ্যে ১৮৩টির সঙ্গে জড়িত মোটরসাইকেল। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতের হারও বেশি। এ বাহনে দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৯৬ জন, যা মোট নিহতের ৪০.২৪ শতাংশ। এছাড়া দুর্ঘটনায় পথচারী নিহত হয়েছেন ১০৮জন। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭২ জন।

বুধবার (৮ মার্চ) বেসরকারি সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি।

 

সংগঠনটি তাদের পর্যালোচনায় বলেছে, ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপসহ পণ্যবাহী দ্রুতগতির যানবাহন ও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বাড়ছে। মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ ড্রাইভারদের বেপরোয়া গতিতে পণ্যবাহী যানবাহন চালানো এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কারণে তারা নিজেরা দুর্ঘটনায় পড়ছে।

আবার অন্যান্য যানবাহনকেও আক্রান্ত করছে। প্রতিবেদনে গণপরিবহন সহজ, সাশ্রয়ী ও উন্নত করা এবং যানজট কমানোর সুপারিশ করা হয়। একইসঙ্গে মোটরসাইকেল নিরুৎসাহিত করা জরুরি বলেও মন্তব্য করা হয়।

 

প্রতিবেদনে সড়কের পাশাপাশি নৌ ও রেল দুর্ঘটনার তথ্যে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, ফেব্রুয়ারি মাসে ৯টি নৌ দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছেন। ১৭টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত এবং ৫ জন আহত ও ৩০ হাজার লিটার জ্বলানি তেল নষ্ট হয়েছে।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে উল্লেখ করে এতে বলা হয়, ঢাকা বিভাগে ফেব্রুয়ারি মাসে ১১৩টি দুর্ঘটনায় ১২১ জন নিহত হন। সবচেয়ে কম ২২টি দুর্ঘটনায় ২২ জন নিহত হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে।

 

একক জেলা হিসেবে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ৩৩টি দুর্ঘটনায় ৩৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। সবচেয়ে কম মেহেরপুর জেলায় ৩টি দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। রাজধানী ঢাকায় ২৩টি দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন।

সড়ক দুর্ঘটনার ধরন সম্পর্কে বলা হয়, ৬৮টি (১৫.৪৮ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২০১টি (৪৫.৭৮ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১১২টি (২৫.৫১ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া এবং, ৪৭টি (১০.৭০%) যানবাহনের পেছনে আঘাত করার কারণে ঘটে।

 

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ৭২৯টি। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ১৯১টি, ট্রাক ১৩২, বাস ৯৬, কাভার্ডভ্যান ২৪, পিকআপ ১৮, ট্রলি ২০ ও থ্রি-হুইলার ১১৮টি রয়েছে।

প্রতিবেদনে বেপরোয়া গাড়ি চালানোসহ ১০টি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় কমাতে সড়ক পরিবহণ আইন প্রয়োগসহ ১০টি সুপারিশ করা হয়েছে।

 

পূর্বকোণ/মামুন/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট