চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু

অনলাইন ডেস্ক

২ মার্চ, ২০২৩ | ৪:১৯ অপরাহ্ণ

গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাসেল ও চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে এ মামলায় তাদের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

 

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। এদিন রাসেলকে আদালতে হাজির করা হয়। তার অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব। আদালত অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন এবং আগামী ২৯ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন। মামলার অপর আসামি শামিমা নাসরিন পলাতক রয়েছেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী আহসান হাবীব এ তথ্য জানান।

 

এর আগে গত বছরের ১৯ অক্টোবর মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। ওইদিন শামীমা আদালতে উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন এবং মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২ মার্চ দিন ধার্য করেন।

এর আগে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আলমগীর হোসেন নামে এক গ্রাহক বাদী হয়ে রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন।

 

মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদী ২০২০ সালের শুরুর দিকে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইভ্যালি সম্পর্কে জানতে পারেন। সেখানে ইলেক্ট্রনিকস পণ্যসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কম মূল্যে অফার করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাজার মূল্যের প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রি করার বিজ্ঞাপন দেখতে পান। পরে তিনি ইভ্যালি অ্যাপসের মাধ্যমে দুটি একাউন্ট খোলেন। দুই আইডি দিয়ে ২৮ লাখের বেশি টাকার পণ্য অর্ডার করেন। বিকাশ, নগদ এবং বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করেন। অর্ডার করা পণ্যগুলো নির্ধারিত ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও ৭ মাসেও তিনি পণ্য বুঝে পান না। এ বিষয়ে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তারা পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করেন।

 

তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাস।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট