চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

প্রবাসীর সন্তানদের জন্য বৃত্তি ও ভাতার দরখাস্ত আহ্বান

মোহাম্মদ আলী

১ মার্চ, ২০২৩ | ১২:৫০ অপরাহ্ণ

প্রবাসীর মেধাবী শিক্ষার্থীর বৃত্তি ও প্রতিবন্ধী সন্তানের ভাতা প্রদানের দরখাস্ত আহ্বান করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রবাসীর প্রতিবন্ধী সন্তানের ভাতা প্রদানে দরখাস্ত আহ্বান করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের অধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড এ ভাতা প্রদান করবে। আবেদনের শেষ সময় ৩১ মার্চ। প্রবাসীর প্রতিবন্ধী সন্তানদের এ ভাতা চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। একজন প্রতিবন্ধী প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা করে বছরে ১২ হাজার টাকা করে এ ভাতা পাবে। তা টানা ৫ বছর পর্যন্ত চলবে। কোন প্রবাসীর একের অধিক প্রতিবন্ধী সন্তান থাকলে তাদের প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা আবেদন করতে হবে। আবেদনের যোগ্যতা হচ্ছে, যে সকল প্রবাসী কর্মী বিএমইটি’র বহির্গমন ছাড়পত্র অথবা ওয়েজ আনার্স কল্যাণ বোর্ডের মেম্বারশিপ গ্রহণ করেছেন এবং মৃত কর্মীর ক্ষেত্রে যাদের পরিবারকে ওয়েজ আনার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া একজন প্রবাসী কর্মীর একাধিক সন্তানের ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক আবেদন করতে হবে। প্রতিবন্ধী ভাতা প্রাপ্তির জন্য জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস, চট্টগ্রাম অথবা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড, ঢাকার সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।’ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক (অর্থ ও কল্যাণ) শোয়াইব আহমাদ খান বলেন, আবেদনপত্র ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড, ৯ তলা (ডেসপাস শাখা), প্রবাসী কল্যাণ ভবন, ৭১-৭২ পুরাতন এলিফ্যান্ট রোড, ইস্কাটন গার্ডেন, রমনা, ঢাকা ঠিকানায় সরাসরি অথবা ডাকযোগে আবেদনপত্র জমা দেয়া যাবে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসেও জমা দেওয়া যাবে। বিনামূল্যে আবেদনপত্র সংগ্রহ করা যাবে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের প্রধান কার্যালয় অথবা সরকারের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট অথবা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস থেকেও। আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে বিএমইটির বহির্গমন ছাড়পত্র সম্বলিত পাসপোর্ট’র ফটোকপি বা স্মার্টকার্ড অথবা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড-এর মেম্বারশিপ গ্রহণের কপি। প্রবাসী মৃত্যুবরণকারী কর্মীর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক ইস্যুকৃত এনওসি। প্রতিবন্ধীর সন্তানের ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি এবং উপজেলা সমাজসেবা অফিস কর্তৃক সুবর্ণ নাগরিক পরিচয়পত্র/কার্ড এর সত্যায়িত ফটোকপি, জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত কপি। ভাতা গ্রহণকারী পিতা-মাতা বা অভিভাবকের (ব্যাংক রাউটিং নাম্বারসহ) ব্যাংক স্টেটমেন্ট। এদিকে আগামী পহেলা মার্চ থেকে শুরু হবে প্রবাসীর মেধাবী সন্তানের শিক্ষা বৃত্তি প্রদানের আবেদন। তা আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এ আবেদন করা যাবে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রবাসী কর্মীর যেসব মেধাবী শিক্ষার্থী ২০২২ সালে এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাদশ/সমমান অথবা ডিপ্লোমা (প্রথম সেমিস্টার/বর্ষে) অধ্যয়নরত এবং ২০২১ সালে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়/মেডিকেল (প্রথম সেমিস্টার/বর্ষে) অধ্যয়নরত তারা অনলাইনে আবেদন করতে পারবে।

 

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও পরিচালক (আইআরপি) আরিফ আহমেদ খান বলেন, এসএসসি কিংবা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ গ্রেড অথবা বাণিজ্য ও মানবিকে ৪.৭৫ গ্রেডে উত্তীর্ণ হতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রবাসী মৃত হলে তার সন্তান পাসের গ্রেডে কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। বিজ্ঞান, বাণিজ্য কিংবা মানবিক বিভাগে জিপিএ-৪ গ্রেডে পাস করা শিক্ষার্থীরা আবেদনে যোগ্য হবে।

 

অপরদিকে এসএসসি কিংবা সমমান পরীক্ষার তুলনায় এইচএসসি অথবা সমমান পরীক্ষায় পাসের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালে এইচএসসি অথবা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৪.৮০ গ্রেড অথবা বাণিজ্য ও মানবিকে ৪.৫০ গ্রেডে উত্তীর্ণ হলে তারা আবেদন করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে প্রবাসী মৃত হলে তার সন্তান পাসের গ্রেডে বিজ্ঞান, বাণিজ্য কিংবা মানবিক বিভাগে জিপিএ-৪ গ্রেডে উত্তীর্ণ হলে আবেদন করতে পারবে। আবেদনে শিক্ষার্থীর মোবাইল নম্বর এবং তার মাতা/পিতার মোবাইল নম্বর অবশ্যই আবেদনপত্রে উল্লেখ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এসএসসি কিংবা সমমান ক্যাটাগরিতে বৃত্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত দুই বছর প্রতিমাসে দুই হাজার টাকা এবং ডিপ্লোমা শ্রেণিতে অধ্যয়নরতরা চার বছর মাসিক দুই হাজার টাকা এবং এইচএসসি/সমমান ক্যাটাগরিতে বিশ্ববিদ্যালয় (প্রথম সেমিস্টার/বর্ষে) অধ্যয়নরত ৪ বছর ও মেডিকেলের জন্য ৫ বছর মাসিক দুই হাজার পাঁচ শত টাকা হারে বৃত্তি প্রদান করা হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর সেশনজট বিবেচনায় আনা হবে না।

 

চট্টগ্রাম জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস সূত্র জানায়, প্রবাসীর মেধাবী সন্তানের আবেদনের পর যাচাই-বাচাই করে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড শিক্ষা বৃত্তির এ টাকা প্রদান করবে।

পূর্বকোণ/একে

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট