১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ৯:৩৮ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
থ্যালাসেমিয়া রোগীদের রক্তদানে সচেতনতা বাড়াতে হেঁটে কলকাতা থেকে বাংলাদেশে এসেছেন আলমগীর খান (৩০) নামে এক যুবক। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদার কালিয়াচকের বাসিন্দা। পেশায় একজন প্রকৌশলী।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে হেঁটে নড়াইল জেলা ছাড়েন আলমগীর। এ সময় তার হাতে সচেতনতামূলক পোস্টার দেখা যায়।
৮ ফেব্রুয়ারি উত্তর-২৪ পরগনার বারাসাত থেকে যাত্রা শুরু হয় তার। ৯ ফেব্রুয়ারি বেনাপোল বন্দরে আসেন। ৩৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে যশোর থেকে সোমবার বিকেলে নড়াইলে আসেন আলমগীর খান।
এ সময় নড়াইলের মুচিরপোল এলাকায় মানবিক নড়াইল, রক্তের ফেরিওয়ালা নড়াইল এবং একটু হাসি স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশনের সদস্যরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন।
হাঁটা পথে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন আলমগীর। রক্তদানে তাদের উৎসাহ দেন। সাধারণ মানুষও আলমগীরের কথা শোনেন। কেউ কেউ এগিয়ে করমর্দন করেন আবার কেউ তোলেন সেলফি।
পদযাত্রা নিয়ে আলমগীর বলেন, ‘কলকাতায় আমাদের ভাষা হচ্ছে বাংলা আর বাংলাদেশের ভাষাও একই। আমার মূলত আন্দোলন থ্যালাসেমিয়া ও রক্তদান নিয়ে। থ্যালেসেমিয়া মুক্ত বিশ্ব গড়তে হবে আমাদের। না হলে আগামীতে প্রত্যেক ১০ জনের মধ্যে একজন বাচ্চা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবাই এক হয়ে লড়াই করলে বিশ্ব থেকে থ্যালাসেমিয়াকে নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব। সপ্তম দিনের পদযাত্রায় নড়াই জেলা ছাড়ছি। ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে পদযাত্রা শেষ হবে।’
মানবিক নড়াইলের ইমামুল ইসলাম রিয়ান বলেন, কলকাতা থেকে হেঁটে আলমগীর ভাই যে প্রচার করছে এটা বিরল। মানবিক কাজ সবাই করতে পারে না ইচ্ছা থাকলেও। তার এ উদ্যোগ আসলেই প্রশংসনীয়।’
রক্তের ফেরিওয়ালা নড়াইলের সিনিয়র অ্যাডমিন সোহাগ শেখ রুদ্র বলেন, তিনি প্রমাণ করলেন স্বেচ্ছাসেবীদের কোনো সীমানা হয় না। কলকাতা থেকে ঢাকা পাড়ি দেওয়া চারটে খানিক কথা নয়। আমরা নড়াইলবাসী তাকে স্বাগত জানাই। আশা করি তিনি যে উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছেন এতে সফল হবেন।
পূর্বকোণ/মামুন/পারভেজ