চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

হিরো আলমের সংবাদ করায় দুই সাংবাদিককে মারধর, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক

৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ১০:৩৮ অপরাহ্ণ

বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের সংবাদ সম্মেলনের সংবাদ করায় দুই সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগে যুবলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম শিপুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ২টায় শহরের কলোনি বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার শরিফুল ইসলাম শিপুল বগুড়া জেলা যুবলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সহ-সভাপতি। মারধরের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেছেন স্থানীয় সাংবাদিক জে এম রউফ।

 

মারধরের শিকার দুই সাংবাদিক হলেন বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি জে এম রউফ এবং স্থানীয় দৈনিক বগুড়ার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার জহুরুল ইসলাম।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পর তা প্রত্যাখ্যান করে শহরের টেম্পল রোডের জেলা আওয়ামী লীগ অফিস সংলগ্ন টাউন ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন হিরো আলম। সেখানে বসে সংবাদ করছিলেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। এ সময় সেখানে প্রবেশ করে জে এম রউফ এবং জহুরুল ইসলামকে মারধর করেন শরিফুল ইসলাম শিপুল।

 

মারধরের শিকার জে এম রউফ জানিয়েছেন, তিনি টাউন ক্লাবের অফিসে (ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে) বসে উপনির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী হিরো আলমের ফল প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলনের সংবাদ লিখছিলেন। ওই কক্ষে স্থানীয় সাংবাদিক প্রদীপ মহন্ত ও জহুরুল ইসলাম ছাড়াও তার আরও দুই সহকর্মী উপস্থিত ছিলেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে যুবলীগ নেতা শিপুল মদ্যপ অবস্থায় সেখানে প্রবেশ করেন। এ সময় তিনি (রউফ) হিরো আলমের সংবাদ সম্মেলনের ভিডিও তার পত্রিকার মেইলে দিয়েছেন মর্মে মোবাইল ফোনে অফিসকে অবহিত করছিলেন। এটি শুনেই ক্ষিপ্ত হয়ে অশালীন ভাষায় গালাগাল শুরু করেন শিপুল। তারা প্রতিবাদ করলে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তাদের মারধর করেন শিপুল।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনার পরদিন সাংবাদিক জে এম রউফ সদর থানায় অভিযোগ দেন। শনিবার সকালে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করেছে পুলিশ। দুপুরে শহরের কলোনি বাজার এলাকা থেকে শিপুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবু কুমার সাহা বলেন, ‘গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতাকে রবিবার আদালতে পাঠানো হবে।’

এ প্রসঙ্গে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু বলেন, ‘শিপুল প্রস্তাবিত জেলা কমিটির সহ-সভাপতি। তিনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি আমরা। ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি, দুই সাংবাদিক উত্তেজিত হয়ে শিপুলকে সেদিন মারধর করেছেন। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে দুই সাংবাদিককে মারধর করেছেন শিপুল। এরপরও অভিযুক্ত শিপুল তাদের হাত-পা ধরে ক্ষমা চেয়েছেন। তবু মামলা করেছেন তারা।’

বগুড়া সদর থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

 

পূর্বকোণ/মামুন/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট