চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

স্থবির শ্রমবাজার, ‘গতি’ ফেরাতে ঢাকায় মালয়েশিয়ান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ১০:০৬ অপরাহ্ণ

অনিয়মের অভিযোগে ২০১৮ সাল থেকে বন্ধ ছিল মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। সর্বশেষ ২০২১ সালের ডিসেম্বরে নতুন সমঝোতার কর্মী পাঠানো শুরু হয়। সিন্ডিকেটের কারণে কাঙ্ক্ষিত পরিমানে কর্মী পাঠানো যায়নি সেখানে।

ঢাকায় সফরে এসেছেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুসন ইসমাইল। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশীয় হাইকমিশনার হাজনা মো. হাশিম তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান। ঢাকায় ২৪ ঘণ্টার সফরে তিনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু বৈঠকে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সাইফুদ্দিন নাসুসন ইসমাইল ঢাকায় শনিবার সেনাকল্যাণ ওভারসিজ এপ্লয়মেন্ট সার্ভিস লিমিটেডের সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল। এরপর রাতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেবেন।

রবিবার সকালে শ্রমবাজার ইস্যুতে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করবেন। দুপুরে মধ্যাহ্নভোজ শেষে তিনি মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শ্রমবাজার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত হতে পারে। এছাড়া সেদেশে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও রিক্রুটিং এজেন্সি অনুমোদনের কথাও আলোচনায় থাকবে।

মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এই শ্রমবাজার নিয়ে নানা রকম তৎপরতা ছিল। কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রেও সেভাবে লক্ষ্য পূরণ করা যায়নি। তাই পদ্ধতিগত পরিবর্তনের কথা ভাবা হচ্ছে। মালয়েশিয়ার সরকার প্রস্তাবে রাজি হলে সেটি নিয়েও আলোচনা হতে পারে। এছাড়া প্রয়োজনে সমঝোতার শর্ত সংশোধনের ইস্যুতেও আলোচনা হবে।

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ইস্যুতে সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। মালয়েশিয়ার শ্রম বাজারে গতি আনতে এই বৈঠককে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তারা।

২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়া বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়া। ২০২১ সালে সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর গত আগস্ট থেকে কর্মী নিচ্ছে দেশটি। পাঁচ মাসে প্রায় আড়াই লাখ কর্মীর চাহিদাপত্র এলেও ৫০ হাজার বাংলাদেশি যেতে পেরেছেন। প্রথমে ‘সিন্ডিকেট’ নামে পরিচিত ২৫ রিক্রুটিং এজেন্সিকে কর্মী পাঠানোর কাজ দেওয়া হলেও পরে আরও ৭৫ এজেন্সিকে যুক্ত করা হয়। কর্মীপ্রতি ৭৮ হাজার ৯৮০ টাকা খরচ নির্ধারণ করা হলেও এজেন্সিগুলো চার থেকে পাঁচ গুণ টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট