চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

রমজান মাসে ভোক্তাদের প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রীর অনুরোধ

অনলাইন ডেস্ক

৪ জানুয়ারি, ২০২৩ | ৪:২৫ অপরাহ্ণ

দাম নিয়ন্ত্রণে আসন্ন রমজান মাসে একসঙ্গে পুরো মাসের পণ্য না কেনার জন্য ভোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের পঞ্চম সভাশেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রমজান মাস শুরু হওয়ার আগের সাত দিন ক্রেতারা যে উপচেপড়ে, সেটি একটু দয়া করে আপনারা (সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে) বলুন, দরকার নেই। কারণ আপনার দোকানে আছে ১০০ কেজি পণ্য। এখন ১০ জনে গিয়ে প্রত্যেকে ১০০ কেজি করে কিনতে চায়। তখন মনে হবে যে আর্টিফিশিয়াল (কৃত্রিম)।’

তিনি বলেন, ‘এক মাসেরটা নিয়মিত কিনলে পরে এ চাপটা হয় না। এটি কিন্তু একটি বড় ধরনের ঝামেলা। আমরা সব সময় লক্ষ করছি রমজানের প্রথম সাত দিনেই বেশি রকম সংকট দেখা দেয়। তারপর দেখা যায় বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসছে। এটি একটু আপনারা দয়া করে বলুন যে ওনারা (ভোক্তারা) যেন তড়িঘড়ি না করেন। রমজান মাসের আগেই সব কিনে নিতে হবে? রমজান মাসে আমার ৩০ কেজি পেঁয়াজ লাগবে, একবারেই যদি কিনে ফেলি! সেখানে তো সমস্যা হবেই।’

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সব মানুষ যদি একদিনেই মনে করে সব কিনে ফেলবে, তাহলে কীভাবে হবে? সাপ্লাইটা তো ঠিক রাখতে হবে। এটা একটা পজিটিভ মেন্টালিটি যে, হুট করে কেনার দরকার নেই। এটা সারা মাস ধরেই পাওয়া যাবে। আপনারা এক মাসের জিনিসটা একসঙ্গে কিনবেন না; এটা একটা বড় সমস্যা। আর আমরা সার্বিক চেষ্টা করছি, যাতে করে রোজার মাসে আমাদের সেই সমস্যা না হয়।’

এছাড়াও তিনি বলেন, এদিনের বৈঠকে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যের দাম ও ঋণপত্র (এলসি) খোলার সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রমজানকেন্দ্রীক পণ্যের মজুত পরিস্থিতি, আমদানি, রমজানে পণ্যের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা ও ব্যাংক ব্যবস্থাপনা নিয়েও কথা হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রজমান সামনে রেখে আমরা ৭টি বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। তাতে করে দেখা যাচ্ছে, মোটামুটি যে অবস্থা আছে, তাতে সমস্যা হওয়ার কথা না। এলসি খোলা নিয়ে সমস্যা আছে, তা নিয়ে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলবো।

চিনির দাম অন্যান্য পণ্যের তুলনায় একটু বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চিনির ওপর ডিউটি কমানোর জন্য একটি চিঠি পাঠানো (এনবিআরকে) হবে।’

এছাড়া পেঁয়াজ, ছোলা ও খেজুরের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারেও এসব পণ্যের দাম তেমন একটা বাড়েনি।

সয়াবিন তেল ও পাম তেল নিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম তেমন একটা বাড়েনি। তাই এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামীতে সয়াবিন তেল ও পাম তেলের দাম বাড়বে না। তবে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে গেলে হয়তো দামের ওপর প্রভাব পড়েবে। তবে আমরা লক্ষ করেছি পণ্য ‍দুটির দাম ভালো পরিস্থিতিতে রয়েছে।

এলসি খোলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, ‘আমরা এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলবো। আশা করি এ সমস্যা শিগগিরই সমাধান হবে।’

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট