চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ছবি: প্রতিকী

ফণীর আঘাতে সারাদেশে নিহত ১৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

৪ মে, ২০১৯ | ৫:৩৫ অপরাহ্ণ

ফণীর আঘাতে সারাদেশে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়টি আজ শনিবার সকালে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা যশোর ও খুলনা অঞ্চলে আঘাত হেনেছে । বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ুটি ফরিদপুর ও তার আশপাশ থেকে উত্তর ও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, নোয়াখালী, মাদারীপুর, ভোলা, বরগুনা, বাগেরহাট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানুষ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন রাণী বেগম (৫৫), ইসমাইল হোসেন (২), আসাদ মিয়া (৫৫), নুরুন্নাহার (৩০), মুজিবুর (১৭) মহিউদ্দিন (২৩), সুমন মিয়া (৭), রুবেল দাস (২৬), আব্দুল বারেক (৩৫), নুরজাহান (৬০), জাহিদুর (৯), শাহানুর বেগম (৩৫) , আপেল মিয়া (২০) মো. মুরাদ (২৫) ।
ফণী এখন দূর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি পাবনা-টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ অংশ এলাকায় অগ্রসর হতে হতে ক্রমেই দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বিপদ সংকেত কমিয়ে সতর্ক সংকেতে নামিয়ে আনা হয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়‘ফণী’র সর্বশেষ অবস্থা ও প্রস্তুতি নিয়ে শনিবার (০৪ মে) দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, শক্তি হারিয়ে ফণী দূর্বল হয়ে পড়ায় দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোতে বিপদ সংকেত ৬ নম্বর থেকে নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (নং-৪৫) বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়‘ফণী’ফরিদপুর-ঢাকা অঞ্চল এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছিল এবং এটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে নিম্নচাপ আকারে দুপুর ১২টায় পাবনা-টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ অঞ্চল এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে বাংলাদেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে এবং দেশের অনেক স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হচ্ছে।
এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কি. মি. বেগে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কি. মি. বেগে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়,উপকূলীয় জেলাগুলো এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো অমাবস্যা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের কারণে ২-৪ ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।এর মধ্যে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা উল্ল্যেখযোগ্য।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট