চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

২২ আগস্টের রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সংশয়

নিজস্ব প্রতিবেদক , ঢাকা অফিস

১৯ আগস্ট, ২০১৯ | ২:১০ পূর্বাহ্ণ

আগামী ২২ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হচ্ছে মিয়ানমার সরকার সংবাদ সম্মেলন করে এমন তথ্য জানালেও বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ বিষয়ে গতকাল পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি। কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, আগামী ২২ আগস্ট সত্যি সত্যি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কাজ শুরু হবে কি না, সে বিষয়টি এখনও ধোঁয়াশায় রয়েছে ঢাকা। ঢাকার আশঙ্কা, প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে এখনও অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেনি মিয়ানমার। আবার রোহিঙ্গাদেরও স্বদেশে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব বা আগ্রহ কোনটাই নেই। এছাড়া যে রোহিঙ্গারা তাদের জন্মভূমি মিয়ানমারে ফেরত যাবে, তাদের বিষয়ে এখনো ভেরিফিকেশন রিপোর্ট (তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন দেওয়া যে তারা স্বেচ্ছায় যেতে চায়) দেয়নি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের কাছে গণমাধ্যমকর্মীরা একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকের অবস্থানও অভিন্ন। তারা দু’জনই মুখে কুলুপ এটে রয়েছেন। গতকাল পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বলেন, ‘আমরা চাই, নিরাপদে, স্বেচ্ছায় ও পূর্ণ অধিকার নিয়ে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফেরত যাক। এ জন্য আগামী কয়েক সপ্তাহজুড়ে (নেক্সট কাপল অব উইক) কক্সবাজারের একাধিক শিবিরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মভূমি মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার জন্য বোঝাব। তারা যদি মিয়ানমারে ফেরত না যায়, তবে ভূমিসহ তাদের কোনো অধিকারই তারা পাবে না।’ ওই সেমিনারে পররাষ্ট্র সচিব আরও বলেন, ‘যেকোনো সময়ই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে।’

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের সন্ত্রাস ও চরমপন্থাবিরোধী ব্যুরোর (কাউন্টার টেরিরিজম ও কাউন্টারিং ভায়োলেন্ট এক্সট্রিমিজম) উপসমন্বয়ক (ডেপুটি কোঅরডিনেটর) জন টি গডফ্রে এখন ঢাকা সফর করছেন। তিনি গতকাল দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেন। জন টি গডফ্রে ও পররাষ্ট্র সচিবের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে পররাষ্ট্র সচিব গডফ্রে’কে বলেন, ২২ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে। এ জন্য যা যা করণীয়, ঢাকার পক্ষ থেকে সবকিছুই করা হচ্ছে। এ বিষয়ে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার সহায়তাও নেওয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট