চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

বাঁশখালীর জলকদর খাল ভরাট-দখল বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ

বাঁশখালী সংবাদদাতা

৭ ডিসেম্বর, ২০২২ | ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় জলকদর খালের উভয় তীরে অবৈধ স্থাপনা, দখল ও ভরাট বন্ধের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

 

ভরাট, দখল, স্থাপনা নির্মাণ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিচ ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) একটি রিট পিটিশন দায়ের করে। এর প্রেক্ষিতে সোমবার (৫ ডিসেম্বর) আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

 

শুনানি শেষে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের এবং বিচারপতি মোহাম্মদ আলির ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

 

এইচআরপিবির পক্ষে আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেন অ্যাডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ। পিটিশনে পরিবেশ সচিব, পানি উন্নয়ন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রামের পুলিশ সুপারসহ ১২ জনকে বিবাদী করা হয়। এইচআরপিবির পক্ষে আদালতে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ, অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ও অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল। অপরদিকে সরকার পক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল আবুল বাশার।

 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, শুনানি শেষে হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ ৪ সপ্তাহের রুল জারি করে জলকদর খাল ও জায়গা দখল করে ভরাট ও ভবন নির্মাণ বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং খালের অভ্যন্তরে থাকা সব অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদের কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না তা বিবাদীদের জানাতে বলেছেন আদালত।

 

একইসঙ্গে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, বাঁশখালীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ৬ জনকে দুই সপ্তাহের মধ্যে কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দেন। এছাড়া আদালত জেলা প্রশাসক, নির্বাহী প্রকৌশলী চট্টগ্রাম ও বাঁশখালীর ইউএনওকে জলকদর খালের সিএস, আরএস অনুসারে জরিপ করে দখলদারদের তালিকাসহ ২ সপ্তাহের মধ্যে আদালতে অ্যাফিডেভিট করে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন।

 

শুনানিতে এইচআরপিবির পক্ষের কৌশুলি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরশেদ বলেন, খাল দখল করে ভবন নির্মাণ চললেও প্রশাসন চুপ করে আছে। যদিও আইন ও বিধি অনুসারে খাল ভরাট বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ায় নির্দেশনা আছে। তিনি বলেন, এ রকম খাল দখল করে অনেক ক্ষেত্রে পানির প্রবাহ বন্ধ করা হয় যা পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।

 

উল্লেখ্য, সাধনপুর থেকে ছনুয়া ইউনিয়ন পর্যন্ত জলকদর বেড়িবাঁধে উভয় পার্শ্বে অন্তত ৬ হাজার স্থাপনা অবৈধ দখলদার রয়েছে।

পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট