প্রতিবছর মিয়ানমার থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসা বাংলাদেশে আশ্রিত হাজারখানেক রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। রবিবার (৪ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, সংখ্যাটি এখনও সুনির্দিষ্ট নয়। তবে এটি তারা (যুক্তরাষ্ট্র) প্রায় বছরখানেক আগে আমাদের জানিয়েছিলেন। কিভাবে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করা হবে, সেই মেকানিজমগুলো এখনও ঠিক হয়নি। আমরা এটাকে স্বাগত জানাই। প্রতি বছরই তারা (যুক্তরাষ্ট্র) নেবে, হাজারের মতো হতে পারে। তবে এই অল্প সংখ্যক পুনর্বাসন দিয়ে বড় ধরনের কোন সমাধান হবে না। কিন্তু আশার কথা হচ্ছে, এটা শুরু হবে। এটার (পুনর্বাসন) সঙ্গে আরও অন্য কোন রাষ্ট্র যদি সম্পৃক্ত হতে চান তাদেরও আমরা সাধুবাদ জানাব এবং স্বাগত জানাব।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্য কোন দেশ এখনও আগ্রহ দেখায়নি। তবে কানাডা কিছু মানুষকে (রোহিঙ্গা) নিচ্ছে, এটা অন্য বিষয়। কিন্তু এটা বড় আকারে নয়। এছাড়া, ৯০-এর দশক থেকে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের কারণে পরবর্তীতে যে উপাত্ত তৈরি করা হয়েছে, এটা আগের চেয়ে অনেক বেশি স্মার্ট এবং ওয়াইডলি এভেইলেবল। সেখানে কোন লোক (বাংলাদেশী) ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
জানা গেছে, পাঁচদিনের সফরে শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে আসা যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী ও অভিবাসনবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী জুলিয়েটা ভ্যালস নয়েস রবিবার কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। সেখান থেকে তার নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের দেখতে যাওয়ার কথা রয়েছে। তার সফরে রোহিঙ্গাদের যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন নিয়ে আলোচনা হবে।
পূর্বকোণ/এএস